‘প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামেও মেয়রের অনুমতি লাগবে’
‘সারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন, একটা প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র, ওই মেয়রের কাছ থেকে তিনি পারমিশন নেন ওই তারিখের। এটা আপনারা জানেন কি-না জানি না? ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর প্রোগ্রাম সিলেক্ট হয়।’
বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচন উপলক্ষে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে নৌকা প্রতীকের এক সভায় এ কথা বলেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তার দেওয়া এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে নিন্দার ঝড় এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য নাশির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে পৌর মেয়র পদ কি বড়? আমতলীতে আসতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে পৌর মেয়রের অনুমতি নিতে হবে। এমন বক্তব্যের জন্য নিন্দা ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, নৌকা প্রতীকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অব কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা! পুরো ভিডিও শুনলে বোঝা যেত তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে আঠারোগাছিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লার মুঠোফোন কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, ভিডিওটি শুনেছি। এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন তা জানা নেই। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মানুষ ফোন দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন। বিষয়টি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে জানাবো। তারা যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন সেই অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ