শিক্ষার্থীদের তৈরিতে শুরু বিশ্লেষণ ধর্মী কুমন শিক্ষা: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, যদি গণিত ও ইংরেজি বিষয় আমাদের শিশুদের সুন্দর করে শেখাতে পারি, তাহলে যারা যেই পেশায় যাক না কেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবে। এজন্য শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ ধর্মী কুমন শিক্ষা।
কুমন শিক্ষায় মানসিক কোন চাপ নেই। ফলে ছেলে-মেয়েরা আনন্দদায়ক এ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। ওই সময় প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, বিশ্বের ৬০টি দেশে ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে এই কুমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মধ্যেই ৬টি উপজেলার ছয়টি স্কুলে কুমন কারেক্ট আমরা চালু করবো। ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়ানো হবে।
তিনি দাবী করেন, ২০৩১ সালে ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে কুমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নিমার্ণের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাদের মধ্যে সমস্যার সমাধান ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাটা তৈরি হবে।আর এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
তিনি মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের কিছু আগে সিংড়া উপজেলার দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেড এর যৌথ আয়োজনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, এ কুমন কানেক্টর উদ্বোধনকালে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, ব্র্যাকের কুমন কানেক্ট প্রধান নেহাল বিন হাসান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শেখ ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান ও দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু।
এএজেড
