বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৮ বছর বয়সেই মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় মাত্র ৮ বছর বয়সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সনদপত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়েছেন গাউস মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের মো. ইমান উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তার জাতীয় পরিচয় পত্র মোতাবেক জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। এত অল্প বয়সে প্রতিবেশী দেশে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ায় তীব্র সন্দেহ ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কি-না সে বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের গাউস মোল্লা জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। জন্ম তারিখ অনুযায়ী মাত্র ৮ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে ভারতে ট্রেনিং করেছেন মর্মে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্তও হয়েছেন। গাউস মোল্লার জাতীয় পরিচয় পত্র (নম্বর ৭৭৭২৯১৩০৫৪) অনুযায়ী জন্ম ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি, যার বীর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৪৭০০০১৬৬৫, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ৪০২০২০০১৬, গেজেট নম্বর-১৬, সূচক নম্বর-৪৭-৯৪-২৭-০২৩ ব্যবহার করে ২০০৫ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র আট বছর বয়সে সে কিভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ট্রেনিং গ্রহণ ও মুক্তিযোদ্ধা হলো তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয়রা বলছেন, আসলেই কি গাউস মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ করেছে? নাকি টাকার বিনিময়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে সে মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জন করেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের এম এ আলম। তিনি অভিযোগে গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে আদৌ ভারতে ট্রেনিং করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে কি-না সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, খুলনার জেলা প্রশাসক, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবরও আবেদন করে অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, গাউস মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি প্রতিবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রতিনিয়ত মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন এই তথাকথিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও সম্প্রতি তার জাতীয় পরিচয়পত্র, মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. মোহসিন প্রদত্ত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তেরখাদা উপজেলা কমান্ড কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রে দেওয়া জন্ম তারিখ সম্বন্ধে জানার পর এলাকাবাসী মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগকারী এম এ আলম জানান, গাউস মোল্লার ১৯৬৩ সালে জন্ম গ্রহণ করে মাত্র ৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনকি তিনি ওই বয়সে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং করেছেন বলেও দাবি করেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হলে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৩৪ বছর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি কেন? একই সাথে হঠাৎ করে ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হলেন সে বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাপট দেখিয়ে এলাকাতে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি এলাকার মানুষের প্রতি বিভিন্নভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছে না। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেশের টাকায় ভাতা পাচ্ছে। তাই দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তথ্যের সঠিকতা নিরূপণের জন্য আবেদন করেছি।

তিনি আরও জানান,গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবির জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ১৯৫৭ সালে। তাহলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে হয় কিভাবে। যা প্রশাসন তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

এ বিষয়টি নিয়ে গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবি জানান, আমরা ৭ ভাই-বোন। তার মধ্যে গাউস মোল্লা আমার ৪ বছরের ছোট। আমার জন্ম ১৯৫৭ সালে হলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে কিভাবে হয়। তবে সে মুক্তিযুদ্ধা কিনা আমি বলতে পারব না বলে জানান তিনি। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধা গাউস মোল্লা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ছিল ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারী। যার সব প্রমাণ তার রয়েছে। কিন্তু আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হওয়ায় ব্যাংকে চাকরি করার প্রয়োজনে বয়স কমিয়ে ১৯৬৩ সালের পহেলা জানুয়ারি করেছিলেন, যা পরবর্তীতে আর ঠিক করা হয়নি। তাছাড়া একজন মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে লাল মুক্তিবার্তাসহ সকল কাগজপত্র রয়েছে বলে জানান ‍তিনি ।

এ প্রসঙ্গে তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আবুল খায়ের জানান, শুনেছি মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লার ভোটার আইডি কার্ডে বয়স কম। প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হতে সাধারণত যে বয়স প্রয়োজন তার সেই বয়স ছিল না। কারণ মাত্র ৮ বছর বয়সে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয় না। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স কম থাকে তাহলে তাকে জন্ম সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।

অন্যদিকে গাউস মোল্লার বিচার দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। কাকলী লস্কর নামে তার এক প্রতিবেশী জানান, গাউস মোল্লা আমাদের নামে বিভিন্ন মামলা করার হুমকি দিচ্ছে। তার নির্যাতনে প্রতিবেশীরা ঠিকভাবে বসবাস করতে পারছে না। আমরা এ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিচার চাই।

এসব ব্যাপারে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব