শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৮ বছর বয়সেই মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় মাত্র ৮ বছর বয়সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সনদপত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়েছেন গাউস মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের মো. ইমান উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তার জাতীয় পরিচয় পত্র মোতাবেক জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। এত অল্প বয়সে প্রতিবেশী দেশে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ায় তীব্র সন্দেহ ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কি-না সে বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের গাউস মোল্লা জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। জন্ম তারিখ অনুযায়ী মাত্র ৮ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে ভারতে ট্রেনিং করেছেন মর্মে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্তও হয়েছেন। গাউস মোল্লার জাতীয় পরিচয় পত্র (নম্বর ৭৭৭২৯১৩০৫৪) অনুযায়ী জন্ম ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি, যার বীর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৪৭০০০১৬৬৫, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ৪০২০২০০১৬, গেজেট নম্বর-১৬, সূচক নম্বর-৪৭-৯৪-২৭-০২৩ ব্যবহার করে ২০০৫ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র আট বছর বয়সে সে কিভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ট্রেনিং গ্রহণ ও মুক্তিযোদ্ধা হলো তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয়রা বলছেন, আসলেই কি গাউস মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ করেছে? নাকি টাকার বিনিময়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে সে মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জন করেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের এম এ আলম। তিনি অভিযোগে গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে আদৌ ভারতে ট্রেনিং করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে কি-না সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, খুলনার জেলা প্রশাসক, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবরও আবেদন করে অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, গাউস মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি প্রতিবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রতিনিয়ত মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন এই তথাকথিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও সম্প্রতি তার জাতীয় পরিচয়পত্র, মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. মোহসিন প্রদত্ত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তেরখাদা উপজেলা কমান্ড কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রে দেওয়া জন্ম তারিখ সম্বন্ধে জানার পর এলাকাবাসী মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগকারী এম এ আলম জানান, গাউস মোল্লার ১৯৬৩ সালে জন্ম গ্রহণ করে মাত্র ৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনকি তিনি ওই বয়সে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং করেছেন বলেও দাবি করেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হলে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৩৪ বছর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি কেন? একই সাথে হঠাৎ করে ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হলেন সে বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাপট দেখিয়ে এলাকাতে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি এলাকার মানুষের প্রতি বিভিন্নভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছে না। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেশের টাকায় ভাতা পাচ্ছে। তাই দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তথ্যের সঠিকতা নিরূপণের জন্য আবেদন করেছি।

তিনি আরও জানান,গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবির জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ১৯৫৭ সালে। তাহলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে হয় কিভাবে। যা প্রশাসন তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

এ বিষয়টি নিয়ে গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবি জানান, আমরা ৭ ভাই-বোন। তার মধ্যে গাউস মোল্লা আমার ৪ বছরের ছোট। আমার জন্ম ১৯৫৭ সালে হলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে কিভাবে হয়। তবে সে মুক্তিযুদ্ধা কিনা আমি বলতে পারব না বলে জানান তিনি। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধা গাউস মোল্লা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ছিল ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারী। যার সব প্রমাণ তার রয়েছে। কিন্তু আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হওয়ায় ব্যাংকে চাকরি করার প্রয়োজনে বয়স কমিয়ে ১৯৬৩ সালের পহেলা জানুয়ারি করেছিলেন, যা পরবর্তীতে আর ঠিক করা হয়নি। তাছাড়া একজন মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে লাল মুক্তিবার্তাসহ সকল কাগজপত্র রয়েছে বলে জানান ‍তিনি ।

এ প্রসঙ্গে তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আবুল খায়ের জানান, শুনেছি মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লার ভোটার আইডি কার্ডে বয়স কম। প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হতে সাধারণত যে বয়স প্রয়োজন তার সেই বয়স ছিল না। কারণ মাত্র ৮ বছর বয়সে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয় না। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স কম থাকে তাহলে তাকে জন্ম সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।

অন্যদিকে গাউস মোল্লার বিচার দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। কাকলী লস্কর নামে তার এক প্রতিবেশী জানান, গাউস মোল্লা আমাদের নামে বিভিন্ন মামলা করার হুমকি দিচ্ছে। তার নির্যাতনে প্রতিবেশীরা ঠিকভাবে বসবাস করতে পারছে না। আমরা এ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিচার চাই।

এসব ব্যাপারে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের