রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৮ বছর বয়সেই মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় মাত্র ৮ বছর বয়সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সনদপত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়েছেন গাউস মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের মো. ইমান উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তার জাতীয় পরিচয় পত্র মোতাবেক জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। এত অল্প বয়সে প্রতিবেশী দেশে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ায় তীব্র সন্দেহ ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কি-না সে বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের গাউস মোল্লা জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। জন্ম তারিখ অনুযায়ী মাত্র ৮ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে ভারতে ট্রেনিং করেছেন মর্মে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্তও হয়েছেন। গাউস মোল্লার জাতীয় পরিচয় পত্র (নম্বর ৭৭৭২৯১৩০৫৪) অনুযায়ী জন্ম ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি, যার বীর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৪৭০০০১৬৬৫, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ৪০২০২০০১৬, গেজেট নম্বর-১৬, সূচক নম্বর-৪৭-৯৪-২৭-০২৩ ব্যবহার করে ২০০৫ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র আট বছর বয়সে সে কিভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ট্রেনিং গ্রহণ ও মুক্তিযোদ্ধা হলো তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

স্থানীয়রা বলছেন, আসলেই কি গাউস মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ করেছে? নাকি টাকার বিনিময়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে সে মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জন করেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের এম এ আলম। তিনি অভিযোগে গাউস মোল্লা এত অল্প বয়সে আদৌ ভারতে ট্রেনিং করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে কি-না সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, খুলনার জেলা প্রশাসক, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবরও আবেদন করে অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, গাউস মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকি প্রতিবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রতিনিয়ত মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন এই তথাকথিত বীর মুক্তিযোদ্ধা। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও সম্প্রতি তার জাতীয় পরিচয়পত্র, মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. মোহসিন প্রদত্ত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তেরখাদা উপজেলা কমান্ড কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রে দেওয়া জন্ম তারিখ সম্বন্ধে জানার পর এলাকাবাসী মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগকারী এম এ আলম জানান, গাউস মোল্লার ১৯৬৩ সালে জন্ম গ্রহণ করে মাত্র ৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনকি তিনি ওই বয়সে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং করেছেন বলেও দাবি করেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হলে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৩৪ বছর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি কেন? একই সাথে হঠাৎ করে ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হলেন সে বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাপট দেখিয়ে এলাকাতে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি এলাকার মানুষের প্রতি বিভিন্নভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছে না। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেশের টাকায় ভাতা পাচ্ছে। তাই দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তথ্যের সঠিকতা নিরূপণের জন্য আবেদন করেছি।

তিনি আরও জানান,গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবির জন্ম তারিখ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ১৯৫৭ সালে। তাহলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে হয় কিভাবে। যা প্রশাসন তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

এ বিষয়টি নিয়ে গাউস মোল্লার বড় বোন বড়ু বিবি জানান, আমরা ৭ ভাই-বোন। তার মধ্যে গাউস মোল্লা আমার ৪ বছরের ছোট। আমার জন্ম ১৯৫৭ সালে হলে তার জন্ম ১৯৫২ সালে কিভাবে হয়। তবে সে মুক্তিযুদ্ধা কিনা আমি বলতে পারব না বলে জানান তিনি। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধা গাউস মোল্লা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ছিল ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারী। যার সব প্রমাণ তার রয়েছে। কিন্তু আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হওয়ায় ব্যাংকে চাকরি করার প্রয়োজনে বয়স কমিয়ে ১৯৬৩ সালের পহেলা জানুয়ারি করেছিলেন, যা পরবর্তীতে আর ঠিক করা হয়নি। তাছাড়া একজন মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে লাল মুক্তিবার্তাসহ সকল কাগজপত্র রয়েছে বলে জানান ‍তিনি ।

এ প্রসঙ্গে তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আবুল খায়ের জানান, শুনেছি মুক্তিযোদ্ধা গাউস মোল্লার ভোটার আইডি কার্ডে বয়স কম। প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হতে সাধারণত যে বয়স প্রয়োজন তার সেই বয়স ছিল না। কারণ মাত্র ৮ বছর বয়সে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয় না। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স কম থাকে তাহলে তাকে জন্ম সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।

অন্যদিকে গাউস মোল্লার বিচার দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। কাকলী লস্কর নামে তার এক প্রতিবেশী জানান, গাউস মোল্লা আমাদের নামে বিভিন্ন মামলা করার হুমকি দিচ্ছে। তার নির্যাতনে প্রতিবেশীরা ঠিকভাবে বসবাস করতে পারছে না। আমরা এ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার বিচার চাই।

এসব ব্যাপারে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, আমরা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন

ছবি: সংগৃহীত

ড্রেসকোড ভাঙার কারণে দাবার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যাগনাস কার্লসেনকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ৫ বারের র‍্যাপিড এবং ৭ বারের ব্লিটৎজ চ্যাম্পিয়ন এই দাবাড়ু জিন্স পরে খেলায় অংশ নিয়ে ফিদে’র নিয়ম লঙ্ঘন করেন।

র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তম রাউন্ডের পর কার্লসেনকে জিন্স পরার জন্য ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়। অষ্টম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর নবম রাউন্ডে তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্লসেন নির্দেশ অমান্য করেন। এর ফলে তাকে নবম রাউন্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

ফিদে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে “ম্যাগনাস কার্লসেন ড্রেসকোড লঙ্ঘন করেছেন। তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ এবং জরিমানা করা হয়েছিল। তবে তিনি তা মানেননি। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতহীন এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”

নরওয়েজিয়ান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্লসেন ফিদে’র এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ফিদে’র এই নিয়ম খুবই হাস্যকর। আমি নিয়মটি মানতে পারতাম, কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে চায়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

ফিদে’র ড্রেসকোড নীতিতে জিন্স নিষিদ্ধ। রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াচ্চি একবার এই নিয়ম ভেঙেছিলেন, তবে তিনি পোশাক পরিবর্তন করে খেলায় ফিরে আসেন। কিন্তু কার্লসেন পোশাক পরিবর্তনে অনাগ্রহ দেখান।

কার্লসেনের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের এই ঘটনায় দাবার জগতে শোরগোল উঠেছে। তার ভক্ত এবং সমালোচকরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন। অনেকেই ফিদে’র ড্রেসকোডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ নিয়ম মানার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।

দাবার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলায় ড্রেসকোডের প্রতি সম্মান রাখা জরুরি হলেও, এমন সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের মতামত এবং স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। ম্যাগনাস কার্লসেনের এই ঘটনা ক্রীড়া নীতিমালার প্রতি নতুন করে আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রিজার্ভ ব্যাপারে এ বিষয়টি জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে।

এ সময় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির কাশ্মীর গেটের অটো যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এবং মন্দিরে ‘আক্রমণের’ অভিযোগের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসব অভিযোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতিবাদ জানানো তাদের লক্ষ্য।

বিনয় নারাং বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটেছে, আমাদের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে এবং আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এটি খুবই অন্যায়। তাই আমরা ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে। আমরা চাই, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারুক।”

কাশ্মীর গেটের বাজারে প্রায় ২,০০০ দোকান রয়েছে, যা মারুতি, হুন্ডাই, টাটা-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ এই বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে রপ্তানি স্থগিতের ফলে অর্থপ্রদানে বিলম্ব ঘটছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি এই কঠিন সময়ে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”

দিল্লির ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকার আলোচনা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।

যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের এই ঘোষণা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তাও বহন করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন
অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি দম্পতি
নগর ভবনে স্থানীয় সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু কাল থেকে
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: মাওলানা মামুনুল হক
ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার