কেটে ফেলা হচ্ছে কুমিল্লার ট্রাঙ্ক রোডের শতবর্ষী গাছ
প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য কেটে ফেলা হচ্ছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার এলাকার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের (পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) রাম মানিক্য দীঘি এলাকার শত শত শতবর্ষী গাছ। সড়ক বিভাগ বলছে, নিয়ম মতো অনুমোদন নিয়ে নিলামের মাধ্যমে এই ৫০০ মিটার সড়কের পরীক্ষামূলক সম্প্রসারণের জন্য এই গাছ কাটা হচ্ছে।
পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য শতবর্ষী গাছ কাটার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণের জন্য এই ঐতিহাসিক সড়কের এত পুরোনো গাছ কাটা হবে কেন? এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ঢাকা থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি গবেষণার জন্য এই রাস্তাটিকে বাছাই করা হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে যে সড়ক নির্মাণের কাজ করা যায় সেরকম একটি পরীক্ষামূলক কাজ করার জন্য এই জায়গার ৫০০ মিটার সড়কের নিলামের মাধ্যমে গাছ কাটা হচ্ছে।
গাছ কাটার জন্য সামাজিক বন বিভাগের অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়মমতো অনুমোদন নিয়ে নিলামের মাধ্যমে এই গাছ কাটা হচ্ছে।
কুমিল্লা শহরতলীর চৌয়ারা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো কাটার জন্যও শ্রমিক ও ঠিকাদার দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে উপস্থিত ঠিকাদার জসিম আহমেদ জানান, সড়ক বিভাগের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে না। অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে।
বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও কেন গাছ কাটা হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক হবে।
এসএন