সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে
সমতল থেকে প্রায় পাঁচ ফুট উঁচুতে নির্মিত সেতুটি। নেই সংযোগ সড়কও। দুই পাশে বাঁশের সাঁকো দেখে মনে হয়, দুই হাতে ক্রাচ নিয়ে খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এটি। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কালকিনি খালের উপর নির্মিত এ সেতু।
স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের শুরুর দিকে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি-৩) অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পেরিয়ে গেছে দুই বছর। অথচ সেতুর দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। উঠতে ও নামতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে। পার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।
ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলচর ও বায়লাখালী গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষের পারাপারের অবলম্বন এ সেতু। বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
কোনো রকমে মানুষ পারাপার সম্ভব হলেও গাড়ি পারাপার করা যায় না। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর খান বলেন, ‘সেতু দিয়ে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এলাকার প্রায় ২ হাজার লোক আসা-যাওয়া করেন। গাড়ি ও বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চার কিলোমিটার ঘুরে আমীরগঞ্জ বাজারসহ বরিশাল সদরে যাতায়াত করতে হয়।’
আরেক বাসিন্দা মো. কাঞ্চন মোল্লা জানান, নির্মাণের প্রায় ২ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় তিনি চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন।
চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কী কারণে সেতুর দুই প্রান্তে মাটি ভরাট করা হয়নি এ মুহূর্তে বলা সম্ভব না।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের সময় বর্ষা মৌসুম ছিল। এ কারণে মাটি ভরাটের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সেতুর দুই প্রান্তের জমি থেকে কেউ মাটি দিতে রাজি হয়নি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সঙ্গে বসে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করব।
এসএন