৫ টাকার রং চা এখন ৮ টাকা
রং চা বা লিকার চা, যে নামেই বলেন না কেন ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ রং চায়ের তুলনা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বা হার্ট অথবা পেট ভালো রাখতে রং চায়ের ঝুড়ি নেই। চা প্রেমী হলে তো কথাই নেই। এ ছাড়াও একটু-আধটু চা পান করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তবে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতি কাপ রং চা ৫ টাকা করে বিক্রি হলেও সম্প্রতি তা ৮ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা, যা চা প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ বলা চলে। চা তৈরির মূল উপাধান চিনি, চা-পাতাসহ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে চায়ের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চা দোকানিরা।
চায়ের দাম বাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে আশুলিয়া বাজারের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি ভাই খালি শখ কইরা চা খাই না। কষ্টের কাম (কাজ) করি, তাই চা খাইলে শরীলডা (শরীর) চাঙ্গা লাগে। আমার প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ কাপ চা খাওন (খাওন) লাগে। এক কাপ চা ৫ টাকা আর একখান (একপিস) বিস্কুট ৫ টাকা, ১০ টাকায় নাস্তা শেষ। কিন্তু এহন থেইক্কা (এখন থেকে) চায়ের দাম ৮ টাকা দেওন (দেওয়া) লাগবে। এইডা (এটা) আমাগো (আমাদের) উপর ঝুলুম।’
এ বিষয়ে রিকশাচালক মজনু মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘হোটেলে গিয়ে খাইলে ৫০ টাকার নিচে হয় না। আর চায়ের দোকানে ৫ টাকার বিস্কুট আর ৫ টাকার চায়ে নাস্তা কমপ্লিট। আগে এক কাপ চা ৫ টাকা ছিল, এখন ৮ টাকা। দৈনিক ১০-১৫ কাপ চা খাইতাম। প্রতি কাপে তিন টাকা করে বেশি লাগলে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা বেশি যায়, যা দিয়া আমার বাসার একটা তরকারি নিতে পারি। তাই চায়ের দাম বাড়ার পরে চা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া বাজারের চা দোকানি মো. মোস্তফা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় প্রতি কাপ রং চা ৫ টাকা বিক্রি করছি। এক সময় এক কেজি চিনি ছিল ৪০ টাকা তখন এক কাপ চা বিক্রি করতাম ৫ টাকায়। পরে এক কেজি চিনি ৫০ টাকা হইলো, ৬০ টাকা হইলো, ৮০ টাকা ছিল অনেক দিন। কিন্তু আমরা চায়ের দাম বাড়াই নাই। কিন্তু বর্তমানে এক কেজি চিনির দাম ১১০ টাকা, অনেক মুধী দোকান থেকে ১২০ টাকায় কিনতে হয়। তা ছাড়াও চা-পাতার দামও আগের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে আমি গ্যাস সিলিন্ডারের চুলায় চা বানাই। বর্তমানে সেই গ্যাস সিলিন্ডারের দামও আগের চেয়ে দ্বিগুণ। তাই দাম বাড়ানো ছাড়া আর উপায় নাই।
এসআইএইচ