মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নগ্ন খেলা জোটের রাজনীতি হতে পারে না: মেনন

১৪ দলের প্রধান শরীক দল আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী হয়ে সরকার গঠনের পর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। ২০১৪ সালে যেসকল সিট হাতুড়ি নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম।

২০১৮ সালে ওই সিট আমাদের ভাগে এসেছিলো। কিন্তু আমাদের বলা হলো, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করুন। কিন্তু নির্বাচন করতে গিয়ে দেখলাম নৌকার মাঝিরাই নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। যেখানে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিভক্তি করেছে। এই নগ্ন খেলা আর যাইহোক জোটের রাজনীতি হতে পারে না।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) ভুলে গেছেন। আপনাদের পাশে যখন কেউ ছিলো না। তখন ছিলো ১৪ দল আর ওয়ার্কার্স পাটি। আবারও সেই নির্বাচনের প্রশ্ন। এই রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে জনসভা করে গেছেন। ভোট চেয়েছেন। কার ভোট। নৌকায় ভোট চেয়েছেন। ঠিকিই আছে।

তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি নৌকায় ভোট চাইতেই পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে বলি, তিনি একই সঙ্গে ১৪ দলেরও নেত্রী। তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১৪ দল একত্রে নির্বাচন করবেন। সভা করে তিনি তিনি এই কথা বলেছেন। কিন্তু ভোট চাইবার বেলায় 'নৌকা', 'হাতুড়ির' কোন জায়গা নাই। ভোট চাইবার বেলায় 'নৌকা' মশালের কোন জায়গা নাই। ভোট চাইবার বেলায় 'নৌকা', সেখানে কোরালের কোন জায়গা নাই। তাহলে হলো!

ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় প্রধান আরও বলেন, এখনো আমরা মনে করি, ১৪ দল প্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনে শত্রু বিভীষণ। কারণ বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্র করছে। সুতরাং আমাদের নতুন রাজনীতি, নতুনভাবে গড়তে হবে। এর কোন বিকল্প সামনে নাই। নির্বাচন আসছে। নির্বাচন করবো।

মৌলবাদী শক্তি প্রতি মুহূর্তে ছোবল মারতে চাই এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, আমরা জামাত-হেফাজত মৌলবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়ন তো হয়েছেই। কিন্তু বৈষম্যও বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমরা এমন দেশ চাই না, যেখানে বৈষম্য থাকবে। কিন্তু আজ দেশের সিংহভাগ সম্পদ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে। আজ গরিবের উন্নয়ন হয় নি। উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন হয় নি। উন্নয়ন হয়েছে ধনীক শ্রেণির। ১ নভেম্বর মাসেই ইসলামি ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেয়ে ১ টি প্রতিষ্ঠানই। আজ আমার মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। কিন্তু আমার দেশের টাকা দেশে আর থাকছে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ওই গ্রামের শ্রমিক নিরিহ শ্রমিকদেরকে রেশন প্রদান করুন। তারা রেশন দেবে না। ফ্যামিলি কার্ড দেয়। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি করে। আর এই ফ্যামিলি কার্ড জিনিস, আমার গরিব মানুষের কাছে পৌঁছাই না। এটা আমার হিসাব না। সরকারের হিসাব বলছে যে, ফ্যামিলি কার্ডের যে জিনিস দেয়া হয়েছে তার মাত্র ৪৬ শতাংশ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

অধিকাংশ মানুষের কাছে সেই টাকা, সেই খাদ্য পৌঁছাই নাই। তাহলে উন্নয়ন তো হয়েছে। আমাদের মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানি আমলে বলতেন, গ্রাম থেকে মানুষ আসে, দেখে গুলিস্তান, আর বলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আমরাও বলি পদ্মা সেতু, আমরাও বলি মেট্রোরেল, আর বলি জয় বাংলা। কিন্তু এই জয় বাংলাতো শোষণকারীদের জন্য নয়। টাকা পাচারকারীর জন্য নয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত জোট ও জঙ্গীবাদকে আমরা পরাস্ত করেছি। সেনাশাসনের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছি। কিন্তু আজকে আবারও সেই পুরোনো প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন, সেই শক্তি। যাদেরকে পিছনে ফেলেছিলাম। পরাস্ত করেছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে। তারা আবারও রাজপথ দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। বলছে, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাদের একটার পর একটা শর্ত। তাদের শর্তের কোন শেষ নাই। তাদের এক নেতা জেলখানায়। আরেক নেতা লন্ডনে। লন্ডনে থেকে ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না।

মেনন বলেন, ১৪ দলের মুল শরীক আওয়ামী লীগ, ১৪ দলকে কোন কিছু না জিজ্ঞাস করে, না জানিয়ে যদি মনে করে থাকেন, এককভাবে এই শক্তির মোকাবিলা করবেন, তবে তারা ভুল করছেন, ভুল করবেন। কারণ তারা একই ফাঁদে ১৯৯৬ সালে একই ষড়যন্ত্রের মুখে তারা পড়েছিলো ২০০১ সালে। আমরা তো ভুলে যায় নাই। এই যে রাজনৈতিক বিজয় আমরা করেছিলাম। তা ছিলো ঐক্যবদ্ধ শক্তি। ঐক্যের শক্তি। আমরা কি ভুলে গেছি, বিএনপি কি গ্রেনেড হামলা করেছিলো, এই জোট কি ধরনের অত্যাচার করেছিলো। সেদিন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছিলো, বিএনপি-জামাত জোট আর না। আমাদের সেই ঘোষনায়, সেদিন ঐক্য গড়ে উঠেছিলো।

আপনারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বলেছিলেন, এক সঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন, একসঙ্গে সরকার। আমাদের কোন দাবি ছিলো না। আপনারাই বলেছিলেন, একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, নির্বাচনও করেছি। কিন্তু যখন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসলো, আমরা হোঁচট খেলাম। তারপরও আমরা পিছিয়ে থাকি নাই। আমরা সেই ঐক্যকে চোখের মনির মতো রক্ষা করেছি। সমাবেশের শেষে তিনি রাজশাহীবাসীকে আগামী নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনে বাদশাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে এই সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এসময় তিনি এই রাজশাহী অঞ্চলে তার নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে হাতুড়ি মার্কাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুর সভাপতিত্বে বক্ত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক এবং আমিনুল ইসলাম গোলাপ। সঞ্চালনায় ছিলেন, দলের রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমি মনে করেছি সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি। আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, সব কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। ছবি: সংগৃহীত


নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই পদত্যাগ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার পাশে থাকা প্রয়োজন। সরকারের থেকে রাজপথে আমার ভূমিকা এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছি।

পদত্যাগ পত্র। ছবি: সংগৃহীত

এরআগে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে দায়িত্ব নিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সেদিন বেলা তিনটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হবে।

Header Ad
Header Ad

নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর দূষণ রোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০৪৬টি শিল্প কারখানাকে তাদের ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) চালু রাখতে চূড়ান্ত নোটিস দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নোটিস অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর ২০৪৬টি শিল্প কারখানাকে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা যথাযথভাবে ইটিপি চালু রাখে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী, তরল বর্জ্য নির্গমনকারী সব কারখানার ইটিপি ও এসটিপি (পয়ঃবর্জ্যের ক্ষেত্রে) চালু রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক কারখানা ইটিপি স্থাপন না করেই বর্জ্য ফেলছে, আবার কেউ কেউ ইটিপি স্থাপন করলেও তা সার্বক্ষণিক চালু রাখছে না, ফলে অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে মিশছে।

১৩ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব শিল্প কারখানাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে ইটিপি সার্বক্ষণিক চালু রাখা এবং পরিবেশ আইন মেনে কারখানা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কোয়ালিটির নেই কারণ এখানে কোনো মনিটরিং নেই, এখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। ৮-১০ হাজার টাকার বেতনে অনার্স পড়াচ্ছে। যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স খুলে দিয়ে বসে আছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় ২০০ ছাত্রছাত্রীকে ২ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক। আপনি এখন থেকে আর কী আশা করতে পারেন। এখনো শিক্ষার্থীরা ঠিকে আছে, এখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাকরি পাচ্ছে। সেটাই তো বেশি।’

তিনি আরও বলেন, আপনি তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিকের একজন শিক্ষক দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরি করবেন, এটা তো হয় না। একজন শিক্ষক অর্নাস-মাস্টার্সে পড়াচ্ছেন কিন্তু আপনি তাকে এমপিও দিচ্ছ না। যদি এমপিও না দেন, তাহলে তাকে কলেজে নিলেন কেন? হয়তো ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে লোভ দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখন এমপিও দিতে পারছেন না।

উপাচার্য বলেন, গতকাল ছেলে-মেয়েরা অটো পাসের জন্য এসেছিল। তারা বলছে, স্যার আমরা এক সাবজেক্ট ফেল করছি, আমাদের অটো পাস দিতে হবে। তখন আমি বললাম তোমরা কিছুদিন অপেক্ষা করো, গ্রেস দেওয়া যায় কিনা আমরা দেখবো। বলতে না বলতে দেখি সাদা কাগজের মতো পকেট থেকে কী বের করছে। বের করেই দেখি কাফনের কাপড় পরে আমার সামনে শুয়ে আছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খাতা পুন:মূল্যায়নের ব্যবস্থা ছিল না। শুধু পুন:নিরীক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। পুন:মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার পরে দেখি ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নতুন করে পাশ করেছে। তাহলে শিক্ষকরা কীভাবে খাতা দেখলাম। সব কিছু একটা এলোমেলো অবস্থার মধ্যে আছে।

নতুন স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা নতুন স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে। আমাদের ভিশন ও মিশন যদি এবারও ঠিক না করতে পারি। তাহলে তো মুশকিল। আমরা আবার কবে ভিশন ও মিশন ঠিক করব, আমি জানি না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ
নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ
ফুটবল থেকে রাজনীতির মাঠে ওজিল, যোগ দিলেন তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলে
ব্যান্ডউইথ সেবায় ভারত নির্ভরতা কমছে, সাশ্রয় ৬০ কোটি টাকা
তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ