উখিয়ায় গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু

উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিমের (২৮) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক সলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকে মোহাম্মদ সলিম স্বেচ্ছায় পাহারায় নিয়োজিত কর্মীদের মাঠপর্যায়ে কাজের তদারকি করার সময় দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ সলিম উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির সি-ব্লকের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সাব-মাঝি (সহকারী কমিউনিটি নেতা) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুধবার রাতে মুখোশ পরিহিত ১০ থেকে ১৫ জনের অজ্ঞাত একদল দুষ্কৃতকারীদল তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোহাম্মদ সলিমকে লক্ষ্য করে তারা উপর্যুপরি গুলি ছোড়ে। এরপর স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ সলিমকে প্রথমে কুতুপালংসংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতাল এবং পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।
বুধবার রাতে এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছিল, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে করে এই হামলা হয়। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনার কারণ জানা যাবে।
এএসআই আলাউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিমকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, চমেক হাসপাতাল সূত্রে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিমের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে উখিয়ায় পৌঁছানোর পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এএজেড
