রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজও স্বীকৃতি পাননি রাঙ্গুনিয়ার ভাষা সৈনিক আবুল কালাম

একুশ আসে একুশ যায়, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন অতিক্রম করেছে ৭০ বছর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ৭১ বছরে পা রাখলেও আজো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক রাঙ্গুনিয়ার ভাষা সৈনিক সৈয়দ আবুল কালাম।

বিশ্বে আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। স্মরণ করা হয় আমাদের ভাষা শহীদদের, আলোচিত হয় ভাষা শহীদদের গল্পগাঁথা।

অথচ রাঙ্গুনিয়ার ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক আবুল কালামের ভাষা আন্দোলনের গল্পগাঁথা আজো অনালোচিত। ৭০ বছরেও পাননি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের এই অগ্রনায়ক।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' দাবিতে প্রথম মিছিল বের হয় রাঙ্গুনিয়ার মরিয়ম নগর থেকে। আর ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ভাষা সৈনিক আবুল কালাম। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে তাঁর নেতৃত্বে ৭০/৭৫ জন লোকের একটি মিছিল মরিয়ম নগর (বেয়ান) বাজার থেকে বের হয়ে কাপ্তাই সড়কের চৌমুহনি পৌঁছলে তৎকালীন পাকিস্তানের অনুগতরা রাষ্ট্র ভাষা উর্দু চাই শ্লোগান দিয়ে পাল্টা একটি মিছিল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

হামলায় গুরুতর আহত হন ভাষা সৈনিক সৈয়দ আবুল কালাম। তখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার খবর পেয়ে বাংলা ভাষা বাস্তবায়নের পক্ষের শতাধিক লোক মরিয়ম নগর, মাইজ পাড়া থেকে নুর জাহান বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভায় আহত সৈয়দ আবুল কালামের পিতা মাওলানা সৈয়দ আবদুল হক তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

যেভাবে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি:
ভাষা সৈনিক আবুল কালাম চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ভাষা আন্দোলনের চরম মুহুর্তে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনসভা ও প্রতিবাদ সভায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। প্রতিবাদ সভায় বলিষ্ট বক্তব্যের কারণে সেসময় ভাষা আন্দোলনের নের্তৃত্ব দেয়া নেতাদের নজরে আসেন তিনি।

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে উত্তর চট্টগ্রামের পটিয়া, হাটহাজারী ও চট্টগ্রামের কমিটির সাথে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করে তুলেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ গ্রাম মরিয়ম নগরেও ভাষা আন্দোলন কমিটি গঠন এবং সফলভাবে নের্তৃত্ব দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই দাবীর আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

তার পরিবারের দাবী ভাষা সৈনিক সৈয়দ আবুল কালামকে রাষ্ট্রীয় ভাবে ভাষা সৈনিকের মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে একুশে পদকে ভূষিত করা হোক। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি বলেন, ভাষা সৈনিক সৈয়দ আবুল কালামকে অবিলম্বে ভাষা সৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু স্বজন কুমার তালুকদার বলেন, ভাষা সৈনিক সৈয়দ আবুল কালাম বয়সে আমাদের চেয়ে অনেক বড়। শুনেছি, তিনি ৫২ এর ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ৬ দফা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে সৈয়দ আবুল কালাম কর্মের স্বীকৃতি পাবেন বলে আমরা আশা করি।

ভাষা সৈনিক আবুল কালামের পরিচিতি:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর গ্রামে ক্ষণজন্মা বিপ্লবী পুরুষ ভাষা সৈনিক মরহুম সৈয়দ আবুল কালাম ১৯৩৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা সৈয়দ আবদুল হক ছিলেন একজন আলেম। তাঁর বাল্য শিক্ষা শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ায়। তিনি ১৯৫০ সালে রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক (এস.এস.সি) এবং ১৯৫২ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে আই, এ (এইচ এস সি) পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে বোয়ালখালির কানুনগোপাড়া কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

পরে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম নগরের ডিআইবি অফিসে চাকরির মধ্য দিয়ে তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শুরু করেন। কর্ম জীবনে সৎ ও কর্তব্যনিষ্ট এই মানুষটি ১৯৮৫ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ১৯৯২ সালের ১৯ জুন ব্রেইন ষ্ট্রোকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এএজেড

Header Ad

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। যা আজ ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভরিতে ১৯৯৪ টাকা বাড়া‌নো হয়েছিল।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সোনার দাম বাড়য়েছিল বাজুস। যা ২২ নভেম্বর কার্যকর হয়, ওই দামে এই দুই দিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হি‌সে‌বে আজ‌কে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী