টাঙ্গাইল বার সমিতি নির্বাচনে ৫ বিএনপিপন্থীর বিজয়
টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী বার সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫টি পদে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ৯টি পদে জয় লাভ করেছেন। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আলো।
এরআগে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে রাত ১২টার দিকে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করেন বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্বাছ উদ্দিন আকন্দ। ঘোষিত ফলাফলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য মনোনীত সভাপতি মো. মাইদুল ইসলাম শিশির পেয়েছেন ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী সম্মলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের একেএম শামীমুল আক্তার পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কাশেম মো. মুনসুর আহম্মেদ খান বিপন পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহানশাহ সিদ্দিকী মিন্টু পেয়েছেন ৩২৫ ভোট। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. জামিউল হক সুমন, নির্বাহী সদস্য পদে আতোয়ার রহমান মল্লিক ও তোফাজ্জল হোসেন (আলম) নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি ইমরুল কায়েস বুলবুল, জোয়াহেরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদ শামস, লাইব্রেরী সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক অনুপম দে অপু, নির্বাহী সদস্য মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন, মো. আল আমিন, সৈয়দ মুহাম্মদ শাহানুর আল আজাদ ও শামসুন্নাহার স্বপ্না নির্বাচিত হয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আলো জানান, শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৫টি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ জয় লাভ করেছে।
নির্বাচনে মোট ভোটার ৭৬৪ জন। তাদের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৭১১ জন আইনজীবী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন টাঙ্গাইল বার সমিতির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান আলো। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম জহির ও বার সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদুল হক রতন।
এএজেড