'বাংলা ভাষার ইতিহাস সকলকে জানতে হবে'
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান বলেছেন, আমরা আজকে যে ভাষায় কথা বলছি জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে এ ভাষা অর্জন হয়েছে। এই ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ফেনীর আবদুস সালামসহ অনেকেই জীবন দিয়েছেন। তাই বাংলা ভাষার ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে। ভাষার গৌরব লালন করতে হবে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ফেনী জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-সচিব শরিফ সিদ্দিকী, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সায়িদ একরাম উল্যাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ফেনীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাফেজ আহম্মেদ কাদেরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহমেদ জিলানী ও সুলতান আহমেদ টিটু।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন লাল গোস্বামীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক, সিনিয়র শিক্ষক খোকন চন্দ্র সেন, শিবু রঞ্জন সেন, শিখা রাণী সেন সহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিচারপতি মামনুন রহমান স্কুল প্রাঙ্গনে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিচারপতি মামনুন রহমান আনোয়ার-সাজেদা ফ্রি হেলথ কেয়ার সেন্টার ও ডা. কাওসার'স গার্ডেন পরিদর্শন শেষে বিএমএ ফেনীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার ভুঁঞার বাড়িতে আয়োজিত কুমিল্লা জিলা স্কুল ও অন্যান্য বন্ধু ১৯৮০ এর পূর্নমিলণীতে অংশ নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ গ্রহণ করেন।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, মহামান্য রাস্ট্রপতির প্রাক্তণ ব্যক্তিগত চিকিৎসক জায়েদুল হাসান, ফেনীর সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, বিএমএ'র সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএসআর মাসুদ রানা প্রমুখ।
এএজেড