৩ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারার পায়তারা!
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়ার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম সরাসরি ভাগ-বাটোয়ারা পায়তারা করছেন বলে টেন্ডারে অংশগ্রহনকারী একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন। এবিষয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে একজন ঠিকাদার নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট দরপত্রে অংশ্রগ্রহণকারী ঠিকাদাররা জানায়, বিগত কয়েক বছর যাবত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের টেন্ডারে আহ্বানকৃত কাজগুলো সর্বনিম্ম ঠিকাদারকে না দিয়ে উচ্চ দরদাতাকে দেওয়া হয়। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়, যা পিপিআর বর্হিভুত।
এছাড়াও সিরিয়ালে থাকা ১ম, ২য় কিংবা ৩য় প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ৫'ম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার কাজ দেওয়ায় বঞ্চিত ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা পূর্বের ন্যায়ে এবারও ১ম, ২য় কিংবা ৩য় বাদ দিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলামের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মেসার্স রাজু এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সরঞ্জাম ক্রয়ের টেন্ডারে আমার প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ম দরদাতা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম আমাদের নোটিফেকশেন অ্যাওয়ার্ড কিংবা কার্যাদেশ না দিয়ে তালবাহানা করছে। বারবার গেলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। এ বিষয়ে আমি দুদক কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, বিগত বছরে কি হয়েছে আমি জানিনা! ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের টেন্ডার দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের যাচাই-বাছাই চলছে। তবে এখনও কাউকে কাজ দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার ফোন করেও জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এর বক্তব্য জানান সম্ভব হয় নি।
এএজেড