ভারতীয় হাসপাতালের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তৈরি, গ্রেপ্তার ২
ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। সেই প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর বর্ণালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, কালার প্রিন্টার ও স্ক্যানার উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আরএমপি মিডিয়া সেল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেখ মো. এনামুল হাসান তাসিন (২০) ও মো. রায়হান কবির (২১)। এনামুল রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল মাস্টারপাড়ার শেখ মো. আবু সাঈদের ছেলে ও রায়হান কর্ণহার থানার শিশাপাড়ার মো. ইসরাইলের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় হয়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মোহনঘোষ এলাকার মো. হেলাল আলী নামের এক ব্যক্তি ভারতে যাওয়া জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালিয়া থানাধীন বর্ণালী মোড়ে ইন্ডিয়া ভিসা অফিসে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আসেন। অফিসের সামনে অজ্ঞাতনামা একজনকে ভিসা প্রসেসিংয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ‘রহমান লাইফ সল্যুশন’ নামক একটি দোকান দেখিয়ে দেন। তিনি সেখানে গেলে আসামিরা তাকে বলে, ভিসা করতে হলে ভারতের হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারসহ বিভিন্ন কাগজপত্র লাগবে। তখন হেলাল আলী কাগজপত্র কোথায় পাবেন জিজ্ঞেস করলে আসামিরা জানায়, সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিলে তারা সব কাগজপত্র তৈরি করে দেবে এবং তাদের দেওয়া কাগজপত্র ভারতের হাইকমিশনারের অফিসে জমা দিলেই ভিসা পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, পরে হেলাল আলী আসামিদের ৩ হাজার ৪০০ টাকা দেন। কিছুক্ষণ পর আসামিরা ভিসা পাওয়ার আবেদন ও ভারতীয় চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে ভিসা অফিসে জমা দিতে বললে হেলাল আলী কাগজপত্র ভিসা অফিসে জমা দেন। পরের দিন সকাল ১১টার দিকে হেলাল আলী খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, আসামিদের দেওয়া ভারতীয় চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার জাল হওয়ায় তার ভিসা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। তখন তিনি আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে হেলাল আলী গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানান। এরপর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
এসজি