শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণে মানা হচ্ছে না নিয়ম

অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ ও নানা কারণে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দশকে এ দ্বীপের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও দ্বীপটি রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক সময়ের বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে।

সেন্টমার্টিনে ইকো সিস্টেমে স্থাপনা নির্মাণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটা করা হচ্ছে না। রড, সিমেন্ট, পাথর ও ইট দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্টে ও দালান। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর সেন্টমার্টিন দ্বীপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিলুপ্ত হয়ে যাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন হুমকির মুখে চলে যাচ্ছে দিন দিন। সেখানে নির্মিত হচ্ছে বড় বড় বাণিজ্যিক দালান, যা সেন্টমার্টিনের পরিবেশের সঙ্গে কোনোভাবে মিলছে না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছরে সেন্টমার্টিন বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে একটি পরিকল্পিত এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ করার জন্য সংসদীয় কমিটি সরকারকে অনুরোধ জানাবে।

র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, ২৫ বছর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অবস্থা এ রকম ছিল না। তখন অনেক গোছানো ছিল। আগামী দিনের সেন্টমার্টিন দ্বীপ গড়ে তুলতে হবে প্রকৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে।

গত শনিবার কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রথমবারের মতো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী।

কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্ট পিপল সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি জরিপ করেছিল, সেই সময় দ্বীপটিতে ছোট-বড় ১২৩টি আবাসিক হোটেল ও কটেজ ছিল। এর মধ্যে আড়াই ডজনের বেশি ছিল দুই ও তিনতলা পাকা ভবন। জরিপের তিন বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা দেড় গুণের বেশি বেড়েছে। তা ছাড়া নতুন আরও ১৮টি স্থাপনার কাজ চলছে। এজন্য প্রশাসনের অবহেলাকেই দায়ী করছেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকারীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইট ও কংক্রিটের স্থাপনা। আর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সিন্ডিকেট এসব স্থাপনার নির্মাণসামগ্রী আনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাগনে হেলাল মিয়াও একটি স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসন আন্তরিক নয়। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই টেকনাফ থেকে নির্মাণসামগ্রী এনে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন এসব স্থাপনা বন্ধে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে আসেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। প্রশাসন আজ পর্যন্ত একটি স্থাপনার কাজও বন্ধ রাখতে পারেনি।

সেন্টমার্টিনকে গত বছর মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী এখানে ইট-সিমেন্ট আনা নিষিদ্ধ। শুধু বাঁশ-কাঠ দিয়ে ইকো-ফ্রেন্ডলি রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ বানানো যাবে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ড্রিমার্স প্যারাডাইস বিচ রিসোর্ট, আটলান্টিক রিসোর্টসহ সাইনবোর্ডবিহীন ১৮টির বেশি স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলতে দেখা গেছে। নিমার্ণ শ্রমিকরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি মালিকের নাম বলতেও রাজি হননি কোনো শ্রমিক।

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, কোনোভাবেই আমি দালান নির্মাণের সঙ্গে জড়িত না। সেন্টমার্টিনে ইট, সিমেন্ট দিয়ে পোস্ট অফিস, কোস্টগার্ড কার্যালয় ও লাইট হাউস নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকি সব ইকো সিস্টেমে করা হচ্ছে।

চেয়ারম্যানের ভাগনে হেলালের তিনতলা রিসোর্ট নির্মাণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান মুজিব বলেন, আমার আত্মীয়স্বজন কেউ ভবন বানালে সেটি আমার ব্যাপার নয়। এর দায় আমার হওয়ার কথা নয়।

সেন্টমার্টিন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম বলেন, দ্বীপে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে আমার করার কিছুই নেই। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলে অভিযান হয়। কার্যালয়ে আমি একা থাকি। প্রশাসনিক শক্তিও নেই যে কাজ বন্ধ করে দেব। ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ ছাড়া আর কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। কংক্রিট স্থাপনা বাঁশ ও পাতা দিয়ে ঢেকে এখানে নাম দেওয়া হয় ইকো রিসোর্ট।

টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছি আমরা। স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান চলছে। সরকারের নির্দেশনা মানতে যা করণীয় সবই করা হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেন। তাদের কেন্দ্র করে দ্বীপের চারপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাপনা তৈরির হিড়িক পড়েছে। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, সেহেতু সেন্টমার্টিন দ্বীপ একসময় সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পর্যটক ও স্থানীয়রা সচেতনতার পরিচয় না দিলে দ্বীপটি আরও দ্রুত হারিয়ে যাবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ফলে ১০৭ রানের বড় জয় পায় প্রোটিয়ারা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। স্পোর্টিং উইকেটে বড় সংগ্রহ গড়ার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। রিকেল্টনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামের ফিফটিতে প্রোটিয়ারা ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম উইকেট দ্রুতই হারায় দলটি। ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে ২৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১১ রানে ফেরেন টনি ডি জর্জি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমা ও রিকেল্টনের ১২৯ রানের জুটিতে ১৫০ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯তম ওভারে ৭৬ বলে ৫৮ রান করা বাভুমাকে ফেরান নবি।

বাভুমার বিদায়ের পরই নিজের অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। তবে ৩৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে ১০৬ বলে ১০৩ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর ডুসেন ৪৬ বলে ৫২ ও মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রান করেন। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ নবি ৫১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন রহমত শাহ, যিনি ৯২ বলে ৯০ রান করেন। এছাড়া, আজমতুল্লা ওমারজাই ও রশিদ খান ১৮ রান করে করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা ৩ উইকেট, এনগিদি ও মুলডার ২টি করে উইকেট নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া