বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের বদলে দেশির রাজত্ব

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় পণ্যটির বাজার স্থিতিশীল। দেশি পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ও মান ভালো হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পরিবর্তে দেশিতেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কম পরিসরে পেঁয়াজের আমদানি হচ্ছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে এবং বড় আকারের নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩১-৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা তাহের আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমলেও দেশি পেঁয়াজের মান ভালো হওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ ছেড়ে দেশি পেঁয়াজ কিনছে। এতে করে দেশের কৃষকরা কিছুটা লাভবান হচ্ছে। বর্তমানে পাবনা মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশি পেঁয়াজ উঠায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। বাজারে বেশ কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা ছিল। এতে করে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছিল। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কম। একইসঙ্গে স্বাদও অনেক ভালো। যার কারণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংখ্যা কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বন্দর দিয়ে ৭-১০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও সপ্তাহের শেষ দিকে তা কমে ৩-৪ ট্রাকে নেমে আসে। আমদানি কমার ফলে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঠিক তেমনি পানামা পোর্টে দৈনন্দিন আয় কমেছে।
এসজি
