কমেছে সবজির দাম, আশাহত কৃষক

চলমান শীতে শীতকালীনসহ নানা রকম সবজি কেনাবেচায় জমজমাট ঠাকুরগাঁওয়ের পাইকারি হাটবাজার। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে বেশকিছু সবজি কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। এ অবস্থায় কাঙ্খিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকের। ভোর থেকেই তিন চাকার যানবাহনে করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীতকালীনসহ নানা রকম টাটকা সবজি নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সমবায় মার্কেট পাইকারি বাজারে আসেন প্রান্তি কৃষকেরা।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদনও হয়েছে ভাল। কৃষকের উৎপাদিত ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, স্কয়াস, মুলা, বেগুনসহ বিষমুক্ত হরেক রকম সবজি আঞ্চলিক সড়কের পাশে সাজিয়ে শুরু হয় কেনাবেচা। বাজারে সরবরাহ ভাল থাকায় গেল সপ্তাহের তুলনায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, স্কয়াস, ব্রকলির দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি এক-দুই টাকা উঠা নামায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচের তুলনায় কাঙ্খিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকের।
আর এসব সবজি ক্রয়ে স্থানীয়সহ দুর দুরান্তের ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন এ পাইকারি বাজারে। কৃষকদের অভিযোগ, বর্তমানে শীতকালিন সবজি বিক্রি করে কাঙ্খিত মুল মিলছে না। এভাবে বাজার চলতে থাকলে কৃষক লোকসান গুনবে। বাজার অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হলেও বাড়ছে না সবজির দাম। সমবায় মার্কেটের ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, কিছু কিছু সবজির দাম তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। এছাড়া অন্যান্য শাক সবজির দাম উঠা নামায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরবরাহ ভাল বাজারে।
প্রতি কেজি নতুন আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২২ টাকা, ফুলকপি ৪-৬ টাকা, স্কয়াস প্রতি কেজি ৮-১০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিচ ৮-১০ টাকা, ব্রকলি প্রতি পিচ ৯-১০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২০-২১ টাকা, বেগুন ১২-১৪ টাকা, গাজর ২০-২২ টাকা, টমেটো প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ১০-১৮ টাকা, মিস্টি কুমড়া ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য শাক সবজি প্রকার ভেদে ২ থেকে ৫ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এই পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত সবজি কেনাবেচা হয়।
এএজেড
