নতুন জঙ্গি সংগঠনের আরও পাঁচ সদস্য আটক
বান্দরবানে নতুন জঙ্গি সংগঠন 'জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাবের ৯জন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বান্দরবানের থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তবে আটক জঙ্গীদের নাম প্রকাশ করেনি র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বান্দরবানের থানচি উপজেলায় জঙ্গিরা আবার জড়ো হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি। পরে জানতে পারি জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা থানচি উপজেলার রেমাক্রী ব্রীজ পার হবে। এমন খবরে আমরা ৬টা পেট্রোল টিম আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। পরে মঙ্গলবার সকালে তারা ওই ব্রীজ পার হওয়ার সময় তাদের সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময় হয়। এ সময় আমরা অক্ষত অবস্থায় ৫ জনকে আটক করি। তবে অভিযানের সময় র্যাবের ৯ সদস্য আহত হয়।
মহাপরিচালক আরও বলেন, এসব জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ে হুট করে এসে নিজেরা কিছুই করতে পারবে না। তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। লজিস্টিক সাপোর্ট বলতে থাকা, খাওয়া, পথ চেনাসহ বিভিন্ন কিছু। এসব জঙ্গি সংগঠনকে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সার্পোট দিচ্ছে তাদেরকেও আমরা গ্রেপ্তার করছি।
তিনি আরও বলেন, আনসার আল ইসলাম, হুজিসহ বিভিন্ন সংগঠন মিলে এ নব্য সংগঠন তৈরি করেছে। সমতল ভূমি থেকে তারা পাহাড়ে এসে থাকছে । যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদাচারণা করতে পারে না সেসব দূর্গম স্থানগুলো তারা বেছে নিচ্ছে।
মহাপরিচালক বলেন, গত অক্টোবর থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ৩৮জন জঙ্গি ও ১৪জন কেএনএফ সন্ত্রাসী সদস্যকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাহাড় কিংবা সমতলে জঙ্গিদের এক ইঞ্চি জায়গাও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এসময় এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বম জাতিগোষ্ঠীর একটা অংশের উদ্যোগে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এটি গঠিত হলেও তাদের দাবি, ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। আরও জানা যায়, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের ১৯টি জেলা থেকে হিজরতের নামে ৫৫ জন তরুণ ঘর ছেড়েছেন। নিরুদ্ধেশ বা নিখোঁজ থাকা তরুণরা বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় কেএনএফের স্থাপন করা প্রশিক্ষণশিবিরে আছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, আনসার আল ইসলাম, জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদেও কিছু নেতার উদ্যোগে 'জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' গঠন করা হয়। কেও জমি কিনে, কেউ ছোট মাদ্রসা তৈরি করে আবার কেউ এনজিওর আড়ালে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন পাহাড়ে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করেছিল।
এএজেড