নো ম্যান্স ল্যান্ডে থেকে সরল আরও ৫১ রোহিঙ্গা পরিবার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা আরও ৫১ পরিবারের ২৭০ জনকে দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরআরআরসি'র নিজস্ব যানবাহনে করে তাদের কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার আরআরআরসি শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্বয়ে রোহিঙাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
এদিকে শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মিজানুর বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন সরিয়ে নেওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত ছিলেন। যাদের ডাটা আছে তাদের স্ব-স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করা ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩৬টি পরিবারের মধ্যে ইউএনএসিআর কর্তৃক ২৪টি পরিবার ও আইসিআরসি কর্তৃক ১২টি পরিবার নিবন্ধিত রয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তমব্রু সীমান্তের এপারে আশ্রয় নেয়।
এসআইএইচ