জমি দখল করতে না পেরে কবরস্থানের প্রাচীর ভাংচুর
লক্ষ্মীপুরে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে জমি জবরদখল করতে না পেরে উক্ত জমিতে থাকা কবরস্থানের প্রাচীর ভাংচুর করেছে মো. আজাদ হোসেন নামে এক দুষ্কৃতকারী। এসময় ওই জমিতে থাকা সীম কর্তন করে সে। আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শিল্পী কলনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে জমির মালিকদের প্রাণে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আজাদ একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। সে এলাকায় একজন মাদকাসক্ত হিসেবেই পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আজাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। প্রতিনিয়তই সে একের পর এক স্থানীয়দের কাছে জমি দাবী করে নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। স্থানীয় মৃত হারিছ মিয়া গংদের পৌর শহরের শিল্পী কলনীস্থ ৫০ বছরের পুরনো মালিকিয় ও দখলীয় ৫শতাংশ জমি রয়েছে। যার একাংশে মৃত হারিছ মিয়া ও তার স্ত্রীর পাকা প্রাচীর বেষ্টিত কবর রয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে দুষ্কৃতকারী আজাদ কবরস্থানসহ ওই জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছিলো। গতকাল রবিবারও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই জমি জবরদখল করতে আসে আজাদ ও তার অনুসারীরা। এসময় বাঁধা দিলে মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে আবু ছায়েদ ও অপরপূত্র মৃত আবুল বাসারে ছেলে সোহাগ ও শাওনে সঙ্গে বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে দেশিয় অস্ত্র (লোহার তৈরি সাপাল) দ্বারা সোহাগের মাথায় আগাত করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়দের বাধায় সে ব্যর্থ হয়ে সবাইকে অশালীন গালমন্দ করেও জমির মালিকদের প্রানে হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার খবর টের পেয়ে ছটকে পড়ে আজাদ। এঘটনার পর আজ সোমবার সকালে জমি জবরদখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মৃত হারিছ মিয়ার কবরস্থানের পাকা প্রাচির ভাংচুর করে ভূমিদস্যু আজাদ। এসময় ওই জমিতে থাকা সীম গাছসহ বেশ কয়েক গাছ কর্তন করে সে।
এঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে ও নাতিরা। শুধু এ ঘটনাই নয় স্থানীয় প্রবাসীর সীমানা প্রাচীরসহ ৯ শতাংশ জমি নাটক সাজিয়ে অন্যায় ভাবে জবর দখল করে রেখেছে সে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর পরিবারের লোকজনকে মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে ভূমিদস্যু আজাদ ও তার অনুসারীরা। তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানিয়রা।
ভুক্তভোগী সোহাগ ও শাওন বলেন, এ জমিতে আমাদের দুটি ঘর ও এটি দোকান ছিলো। পুরনো হওয়ায় ভেঙে পেলা হয়েছে। যার পৌর হোল্ডিং নাম্বার ও বৈদ্যুতিক মিটার এখনো আছে। আজাদ অন্যায় ভাবে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আমাদের প্রাণে হত্যার হুমি দিচ্ছে। এমনকি দাঁদা-দাঁদির কবরের পাকা দেয়াল ভাংচুর করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মো. আজাদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এনে কি হবে। পুলিশ আমার ডান পকেটে থাকে। ওই জমি আমার আমি দখল করবো। কেউ এলে হাত-পা কেটে রেখে দেবো। প্রয়োজনে রক্তের বন্যা বসবে বলে উত্তেজিত হয়ে উঠে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলার খবরে ঘটনাস্থে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশের খবরে টের পেয়ে অভিযুক্ত আজাদ সরে যায়। তবে এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড