হিলি স্থলবন্দরে ৮০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর ৬ মাসে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। পণ্য আমদানি কমায় রাজস্ব আহরণ কমেছে বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে পণ্য আমদানিতে বিরাজমান জটিলতা নিরসন হলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে দাবি আমদানিকারকদের।
বিগত বছরগুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি রাজস্ব আহরণ করলেও বেশকিছু জটিলতার কারণে চলতি অর্থবছরে ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব ও ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় পাথরসহ অধিক শুল্কযুক্ত বেশকিছু পণ্যের আমদানি কমে গেছে। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় আমদানি কমার কারণ, এ ছাড়া ফল আমদানির ক্ষেত্রে ট্রাকে চাকা অনুযায়ী শুল্কায়ন এবং মোটরসাইকেলের পার্টসসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য বাড়তি মূল্যে শুল্কায়ন করার ক্ষেত্রে আমদানি কমেছে। এসব জটিলতা নিরসন হলে বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাসে বন্দর দিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯৪ কোটি ৬ লাখ টাক। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, আমরা আমদানিকারকরা ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসি। সে পণ্যগুলো আমরা ইচ্ছা করলে সচরাচর নিয়ে আসতে পারছি না। বিশ্বে কিছুটা ডলার সংকট আছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো সব পণ্যের এলসি করে দিচ্ছে না। এজন্য বিশেষ ডিউটিযুক্ত পণ্য আসছে না। এ কারণে রাজস্ব ঘাটতি কিছুটা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাথর ঢুকে। ডলার সংকটের কারণে কোনো ব্যাংক এলসি করছে না। এলসি না করার কারণে শিপমেন্ট কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শাহিনুর রেজা বলেন, আমরা মনে করি খাদ্যদ্রব্যসহ মেগা প্রকল্পের পাকুরস্টোন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসে। এগুলোর এলসি যদি সঠিকভাবে সরবরাহ করে ব্যাংকগুলো অনুমতি দেয় তাহলে এ বন্দর আবারও সচল থাকবে। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আহরণ হবে বলে আশা করছি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত আছে। বিগত দিনের থেকে আমদানি অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ২০০-২১০ গাড়ি হিলি স্থলবন্দর আসলেও বর্তমানে ৭০-১০০ গাড়ি আসছে। আমদানি কমার ফলে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঠিক তেমনি পানামা পোর্টে দৈনন্দিন আয় কমেছে।
এসজি
