কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি না: তৈমুর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি না। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি পুলিশ ও প্রশাসনকে।’
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ কথা বলেন তিনি।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি মরে গেলেও ভোটের মাঠ ছাড়ব না। আমি এবং আমার সমর্থক নেতাকর্মীরা কেউ মাঠ ছাড়বে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতব। শুধু ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। প্রতি কেন্দ্রে সিসি ক্যামরা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তৈমুর আরও বলেন, ‘সরকারি দলের লোকেরাই নিজের এলাকাকে নিজেরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। তারা বলেছে ১২ নং ও ১৩ নং ওয়ার্ড ঝুকিপূর্ণ। এখানে ১৩ নং ওয়ার্ড আমার বাড়ি, আমার কেন্দ্র। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমার ভাই। আর ১২ নং ওয়ার্ডের তাদের প্রার্থী। সেটাকেও তারা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে।’
আপনি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন কিন্তু বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তাদের জানাতে হবে কেন? আপনাদের (মিডিয়ার) মাধ্যমে দেখতে পান না? শুনতে পান না? আমার মেয়ে এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।’
প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি চাই। পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা চাই। সকল ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেই নিশ্চয়তা চাই।’
এই পরিস্থিতিতে ভোট সুষ্ঠ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষের উপর যত অত্যাচার হবে। ভোটাররা তত ঐক্যবদ্ধ হবে। এই দেশে জর্জ মিয়া নাটকও প্রশাসন সাজিয়েছে। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উপর গুলিও করেছে পুলিশরাই।’
আগামীকালের ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তৈমুর বলেন, ‘ভোট যা-ই হোক, মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না। আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ, কেউ মাঠ ছাড়বে না। গণতন্ত্রের সম্মেলনে বাংলাদেশকে ডাকে না। কেন ডাকে না, সেটা সারাবিশ্ব দেখুক সেটা। এটা যে কেন পায় না। তা জাস্টিফাই হবে।’
এসএম/এসএ/