ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ বিক্রি করে বাড়তি আয়
দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেনও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি বাজারে তিন চার জন মাছ ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান এসময় ফেলে দেওয়া মাছের আঁশগুলো মাছ ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মাছ বাজারে বড় ছোট মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।
মাছ বিক্রেতা আশরাফুল মণ্ডল বলেন, আমরা প্রতিদিন ১থেকে২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।
হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন বলেন, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করত। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।
মাছের আঁশ পাইকার ক্রেতা লিটন পারভেজ বলেন, আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো। এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে। আমরা দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াঘাট, বগুড়া, নাটোর, হিলি, জয়পুরহাট, বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে আঁশ কিনে থাকি। আমরা এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রপ্তানি হয়।
এএজেড