কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে মরা কাছিম উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে থেকে একটি মৃত মা কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত কাছিমটির ওজন প্রায় ২৬ কেজি। এর দৈর্ঘ্য ২ ফুট ৯ ইঞ্চি ও ২ ফুট প্রস্থ। কাছিমটির শরীরের সামনে, পেছনে ও বুকের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুধবার (২৫জানুয়ারি) সকালে জোয়ারে সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্ট এলাকায় এটি ভাসতে দেখে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিউট সদস্যদের খবর দেয় স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিউটের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, এটি একটি অলিভ রেডলি প্রজাতির মা কাছিম। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন সৈকতে এক যুগ আগেও শীত মৌসুমে শত শত কাছিমের দেখা পাওয়া যেত। প্রতি বছর, একই স্থানে এবং একই সময়ে রিডলি সামুদ্রিক কচ্ছপ দলে দলে সৈকতে এসে বাসা বাঁধতো এবং ডিম পেড়ে আবার সাগরে চলে যেত।
তিনি আরও বলেন, কেম্পস রিডলি ও অলিভ রিডলি প্রজাতির সামুদ্রিক কাছিমের এই অনন্য আচরণ আরিবাদা নামে পরিচিত। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ-সমুদ্রপথে আগমন। রিডলির আরিবাদা বিশ্বের বিস্ময়গুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। সমুদ্রের পাড়ে ডিম দিতে এসে জেলেদের জালের আঘাত কিংবা বড় কোনো ফিশিং বোটের ধাক্কায় এটির মৃত্যু হতে পারে।
কচ্ছপটি আরও দুই-তিন দিন আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়। স্ত্রী অলিভ রেডলি কাছিমটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ময়না তদন্তসহ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে বোরির গবেষকবৃন্দ। পরবর্তি গবেষণার জন্য কাছিমটির নমুনা বোরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এএজেড