আওয়ামী লীগের জনসভায় ৭ লক্ষ মানুষ সমাগমের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন আগামী ২৯ জানুয়ারি। ৫ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনী এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে। আর এই সভাকে কেন্দ্র করে ৭ লক্ষ মানুষের জনসমাগমের প্রত্যাশা করছে দলটির নেতারা। সেই অনুযায়ীই চলছে জোর প্রস্তুতি। দলটির প্রত্যাশা ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ শুধু নামমাত্র প্রকৃতঅর্থে জনসভা হবে রাজশাহী শহরজুড়েই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, উন্নয়নের মানসকণ্যা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি, টানা তিনবার এবং মোট চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। তার আগমনকে সামনে রেখে শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষের মাঝে নানা মাত্রিক উদ্দীপনা কাজ করছে।
শেখ হাসিনার মানবিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সুতরাং শেখ হাসিনা যখন রাজশাহীতে আসছেন, কেউ ঘরে থাকবে না এটা স্বাভাবিক। এছাড়া এই জনসভা শুধু রাজশাহী জেলা পর্যায়ের না, ৮ টি জেলার মানুষ দলে দলে সমাবেশে আসবেন। আর এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই ৭ লক্ষ মানুষের সমাগমের টার্গেট রেখে আওয়ামী লীগ এগোচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, ঐতিহাসিক মাদ্রাসামাঠ সংলগ্ন এলাকায় জনসমাগম উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া নগরীজুড়ে ১২ টি জায়গায় ডিজিটাল মনিটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই জনসভা মাদ্রাসামাঠ ও আশেপাশের এলাকা উপচে নগরীজুড়ে হবে, উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে।
সমাবেশকে সামনে রেখে আয়োজক কমিটির বাইরেও যুবলীগ, মহিলালীগ, কৃষকলীগ, তাঁতিলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের জেলা, মহানগর, ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিট পর্যায়ের সকল নেতাই নিজ নিজ কর্মীদের সমাবেশে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজেরাও বৃহৎ এই সমাবেশকে সফল করতে উদ্যোগী। রাজশাহীর বাইরের জেলা থেকে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবেন, তাদের জন্যও সুব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রাত-দিন একাকার করে কাজ করছেন। সমাবেশকে সামনে রেখে জনসমাগমের যে টার্গেট সেটা অবশ্যই পূরণ হবে। কারণ সাধারণ মানুষের মাঝে সমাবেশকে সামনে রেখে ভিন্ন রকম উচ্ছ্বাস কাজ করছে। যার প্রতিফলন সমাবেশের দিন ঘটবে। আর এই সমাবেশ নগরীজুড়েই হবে। মাদ্রাসামাঠ প্রতীকি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে দীর্ঘ ৫ বছর পর আসছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজশাহীতে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় এই সমাবেশে অংশ নেয়ার পাশাপাশি ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৫টি চলমান রয়েছে। আর এই সমাবেশকে সামনে রেখে রাজশাহীতে জনসমুদ্র তৈরি হবে। রাজশাহীর ইতিহাসে এটি সর্ববৃহৎ জনসভা হবে।
এএজেড