শখ থেকে শাকিবের কোটি টাকার খামার
১৯৯৮ সাল থেকে শখের বসে পশু পাখি লালন পালন শুরু করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সোনা পাতিলা গ্রামে বাসিন্দা ফজলে এলাহী শাকিব। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এই খামার গড়ে তোলেন তিনি। কয়েক কোটি টাকার পশু ও রং-বেরয়ের হাঁসের খামার করে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে তাক লাগিয়েছেন এই উদ্যোগতা।
খামারে প্রবেশ করতেই চোঁখে পরবে ধব ধবে সাদা মহিশের। মহিশটির মতই বিদেশি জাতের বেশকিছু পশু আর রং-বেরয়ের হাঁস দেখা মিলে আলাদা আলাদা সেটে। শাকিবের খামারটিতে আমেরিকা, নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়াম থেকে রং বেরংয়ের হাঁস সংগ্রহ করা হলেও পাশাপাশি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মহিশ। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে আনা হয়েছে নানা রকম পশু পাখি।
সেটের ভেতর কৃত্রিম পুকুরের পানিতে অপূর্ব সৌন্দর্যের নানা রংয়ের হাঁসের খুনসুটি যেন মনকারে সবার। সেটের ভেতরেই রাখা হয়েছে ছোট ছোট কাঠের ঘর। সেখানেই এসব হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোঁটানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। চায়নার তিতির মুরগী, আমেরিকার তোলুস, ভুটানের ভুট্টি, আমেরিকার ব্রাহমা ও ফিজিয়ান জাতের গরুর পাশাপাশি আমেরিকার বারবাড়ি ছাগল ও ভারতের গারোল ভেড়াও রয়েছে খামারটিতে।
শখের বসে এসব নানা জাতের পশু পাখির লালল পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখন কয়েক কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এই উদ্যোগতার। স্থানীয়রা জানান, উদ্যোগতার খামারে বিরল প্রজাতির পশু পাখি রয়েছে। যা দেখতে অপূর্ব লাগে। যা সচরাচর দেখা যায় না। দুর-দুরন্ত থেকে লোকজন আসছেন তার খামারে।
এ বিষয়ে এসএস এগ্রো খামারের উদ্যোগতা ফজলে এলাহী শাকিব ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, আমি বিদেশ থেকে ব্যতিক্রম পশুপাখি ক্রয় করি। শখের বসে পশুপাখি লালন পালন করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির উদ্যেশে খামারে নানা জাতের পশু আনা হয়েছে। তা লালন পালনে এলাকার স্থানীয়রা কাজের সুযোগও পেয়েছে অনেকে। আগামীতে আরও নতুন নতুন জাতের পশুপাখি আনা হবে।
এএজেড