৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
চাকরির কথা বলে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ ও পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ এনে ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরগুনার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আলাউদ্দিন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকেই উল্টো মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এবিষয়ে ওই ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আলাউদ্দিন।
শিক্ষকরা হলেন- আমতলীর ১৬ নং দক্ষিণ কেওরাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এসএম ছগির হোসেন বাবুল, ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষিকা রাহিমা আক্তার, মহিষকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা আক্তার, শাখারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আলতাফ হোসেন ও পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা বেগম।
এরা সকলেই আলাউদ্দিন হাওলাদারের সৎ ভাই ও ভাইদের স্ত্রী। আলাউদ্দিনের অভিযোগ, চাকরির কথা বলে তার কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা সহ ও তার পৈত্রিক জমি প্রতারণা করে দখল করেছেন ওই ছয় শিক্ষক। এ নিয়ে তিনি আদালতে গেলে উল্টো তার নামে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন তারা।
আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি আমার অধিকার। অথচ এই সম্পত্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত করছে আমারই সৎ ভাইয়েরা। তারা চক্রান্ত করে চাকরির কথা বলে এই প্রতারণা করেছে। এ নিয়ে আদালতে গেলে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসারদের কাছেও অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই।
এদিকে যোগাযোগ করা হলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছয় শিক্ষক। শিক্ষকদের মধ্যে আলতাফ হোসেন বলেন, যে ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় সম্প্রতি আদালত তা খারিজ করেছেন। আর যেখানে ভাই ভাই সম্পর্কই নেই সেখানে এতো টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া আমাদের এমন কোন ক্ষমতাও নেই যে আমরা কাউকে চাকরি দেব।
পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে রয়েছে। তবে বিচারাধীন বিষয়ের উপরে আমার কিংবা শিক্ষা অফিসের হস্তক্ষেপ করা সমীচীন নয়। বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি পারিবারিক এবং আদালতে মামলা চলমান। এব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারছি না।
এএজেড