পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে টানা ৪ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈতপ্রবাহ। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এ কারণে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এমন পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রীতে ওঠানামা করছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ও ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায়। ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শনিবার দুপুরে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে গতকালের তুলনায় আজ ঘন কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। এর পরও দিনের বেলা মহাসড়কগুলোতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনগুলোকে। তবে গত কয়েকদিন ধরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও আকাশে মেঘ থাকার কারণে সারাদিনই শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়।
এদিকে ঘন কুয়াশায় আলু, মরিচ, ভূট্টা, বোরো ধানের বীজতলাসহ নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার কৃষকরা। সেইসঙ্গে হাড় কাঁপানো শীতে গবাদি পশু নিয়ে খামারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে তীব্র শীতে ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামের ফুটপাতের পাশে শীতবস্ত্র বিক্রি করা আমিনুল ইসলাম জানান, ‘গত কয়েক দিনের টানা শীতের কারণে শীতের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে। এভাবে শীত আরো কয়েকদিন থাকলেই আমাদের বেচা বিক্রি আরো ভালো হবে। কারণ যতই শীত পড়ে ততই মানুষ শীতের পোশাক কেনে। শীত না পড়লে তো কিনতে চায় না।’
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারী শৈতপ্রবাহ আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই অঞ্চলে চলতি শীত মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৫৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এসআইএইচ