৯ দিন ধরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী নন্দিতা
ময়মনিংহ থেকে ছোট বোনের বাসায় ঢাকা যাওয়ার পথে হারিয়ে গেছেন দুই সন্তানের জননী নন্দিতা বিশ্বাস (৩৭) ।৯ দিন পর ও খোঁজ মিলছে না তার। গত ১১ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। নন্দিতার নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বড় ভাই বিদ্যালয় শিক্ষক প্রণব বিশ্বাস।
দুই সন্তানের জননী নন্দিতা বিশ্বাসের স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরে। বাবার বাড়ি নেত্রকোনা শহরের নাগড়া শিববাড়ী এলাকায়। নন্দিতা বিশ্বাসের স্বামী সুমন দাশ কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। তাঁদের সংসারে ৬ ও ৪ বছয় বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
বড় ভাই প্রণব বিশ্বাস জানান,গত ১০ জানুয়ারি সকালে তাঁর বোন বাবার বাড়ি নেত্রকোনায় বেড়াতে যান। বিকেলে ময়মনসিংহ শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় যান। পরদিন ১১ জানুয়ারি সাড়ে রাত ৯টায় ঢাকার মালিবাগে বোনের বাসার উদ্দেশে ময়মনসিংহ সেতু থেকে শ্রমিক পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। রাত পৌনে একটার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নন্দিতার বোন মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, নন্দিতা স্নাতকোত্তর হলেও ইদানীং কিছুটা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর গায়ের রং ফরসা, হালকা গড়ন। নিখোঁজ হওয়ার সময় তাঁর পরনে হালকা নীল রঙের সালোয়ার, গায়ে অফ হোয়াইট রঙের চাদর এবং হাতে ছাই রঙের একটি ব্যাগ ছিল।
সুজিত সরকার শ্রমিক পরিবহনের বাসচালক মো. সাকিলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, বিশ্ব ইজতেমার ভিড়ের কারণে ওই দিন বাসটি গাজীপুরের পর আর এগোতে পারেনি। বুধবার রাত পৌনে একটায় গাজীপুর চৌরাস্তায় সব যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়।
নন্দিতা বিশ্বাসের সন্ধান পেলে নেত্রকোনা মডেল থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান পরিবারের সদস্যরা।
নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলেন, ওই নারীর স্বজনেরা ভুলে নেত্রকোনায় জিডি করে ফেলেন। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানলাম তিনি নিখোঁজ হয়েছেন ময়মনসিংহ থেকে। পরে ময়মনসিংহ থানায় এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। আমরাও তাঁকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করছি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিখোঁজ নন্দিতা বিশ্বাসকে খোঁজে বের করতে। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হচ্ছে না।
এএজেড