ইয়াবা কারবারি বানিয়ে হয়রানি, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের টেকনাফে মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যবসায়িকে ইয়াবা কারবারি সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মামলার বাদী ও তদন্তকারী তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সহকারী বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪। পাশাপাশি ভিকটিমকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে এই সংক্রান্ত আদেশের রায় প্রকাশ করে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম ও ভিকটিম ইসমাইলের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম। রায়ে বলা হয়, গত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হাসাইন্নার টেকের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইলকে আটক করে টেকনাফ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় মোহাম্মদ ইসমাইল ইয়াবা ব্যবসায়ী। ওইদিন রাত দেড়টায় তাকে আটক করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখায়। পরে তাকে গুলিও করা হয় ডান পায়ে। তার ডান পা এখন পুরোপুরি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন।
আদালতের প্রকাশিত রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, আহত মোহাম্মদ ইসমাইলের কাছে ৩ হাজার ইয়াবা, দুটি অস্ত্র জব্দ এবং পুলিশকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ এনে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করে জেলে পাঠায় পুলিশ। মামলা চলাকালীন বাদী পক্ষের সাক্ষী ও জেরায় মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার সম্পৃক্ততা, তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশকে হত্যা চেষ্টার কোন সত্যতা পায়নি আদালত। গেল ১ ডিসেম্বর ব্যবসায়ি ইসমাইলকে নির্দোষ উল্লেখ করে মামলা থেকে খালাস দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ-৪ মোশাররফ হোসেন।
বৃহষ্পতিবার এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, বাদী এসআই মাশরুরুল হক, তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ আলম চৌধুরী, এসআই ওমর ফারুখ ও এসআই সরুজ রতন আচার্য্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। আদালত এই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে সহকারী বেঞ্চকে নির্দেশ দেন।
এএজেড