নওগাঁয় পাউবোর জমি দখল করে ভবন নির্মাণ, প্রশাসন নীরব!
নওগাঁর মান্দায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমি দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একের পর এক স্থাপনা তুললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি বেদখল হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউপির বনকুড়া গ্রামের মৃত অছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আনিসুর রহমান পাউবোর জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁ আনিসুর রহমানকে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা স্থাপনা অপসারণ করার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। পাউবোর নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নোটিশ প্রদানের ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আত্রাই নদীর বাম তীরে সাংবাদিকের মোড় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধের ধারে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন আনিসুর রহমান। এখনও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও প্রসাদপুর ইউপির শুটকির মোড়, কসব ইউপির তালপাতিলা মোড়সহ উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।
পাউবোর জমিতে ভবন নির্মাণের বিষয়ে আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মা জানান, অল্প জায়গায় বসবাস হওয়ায় আমার ছেলে এখানে বাড়ি নির্মাণ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধভাবে আনিসুর রহমান বাড়ি নির্মাণ করছেন কি-না এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, পাউবোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থাপনা নির্মাণের শুরুতে পাউবোর কর্মকর্তাদের কিছুটা তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে আর খবর নেয় না কেউ। তাই অবৈধভাবে সরকারি জমিতে ভবন বা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। অফিসে বারবার স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানালে বিভিন্ন আইনি জটিলতার কথা বলে তারা পাত্তা দেন না। ব্যবস্থা গ্রহণ করছি বলেই অদৃশ্য কারণে থেমে যান।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনার তালিকা করছি। পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের নোটিশ করা হয়েছে।’ ম্যানেজের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
/এএন