পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে গত দুই দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৯ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমকি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকালের তুলনায় ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পথঘাট। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়েছে। তবে বুধবার সকালে হিমেল হাওয়া কিছুটা কম থাকলেও চারিদিকে ঘন কুয়াশার ছিল। দিনের বেলা মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাচ্ছেন মানুষজন। তীব্র শীতে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে তীব্র শীতের কারণে গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খামারিদের।
ঘন কুয়াশায় আলু, মরিচ, ভূট্টা, বোরো ধানের বীজতলাসহ নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
দিনভর ঠান্ডা বাতাসে নাস্তানাবুদ পঞ্চগড়ের মানুষজন। গত কয়েকদিন ধরে বেলা বাড়ার পর সূর্যের দেখা মিললেও আকাশে মেঘ থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা নেই। এ কারণে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। তবে বিকেল গড়াতেই আবারও শীত শুরু হয়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার পাথর শ্রমিক আইজুল ইসলাম বলেন, এই বরফগলা পানিতে পাথর তুলতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাধ্য হয়ে নদীতে নেমে পাথর তুলি।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, চলতি শীতে এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৫০ হাজার শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো শীতবস্ত্র এলে দ্রুতই তার বিতরণ করা হবে সাধারণ মানুষের মাঝে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ সকাল ৬টায় তেতুঁলিয়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দুই দিন ধরে জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
এসএন