স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্ত্রীর মৃত্যু
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্বামী সহিদুল ইসলাম প্রামানিকের (৬৫) মৃত্যুর ৫ ঘণ্টা পর স্বামীর শোকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫৫)।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ডোমার পৌর শহরের চিকনমাটি (সাহাপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সহিদুল ইসলাম চিকনমাটি এলাকার মৃত মজির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তাদের মৃত্যুকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহিদুল ও হাওয়া বেগম দম্পতির ৬ মেয়ে। তারা সবাই বিবাহিত।
প্রতিবেশী সামাদ ও রিমু জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মাঠে গরু-ছাগল বেঁধে বাড়িতে আসেন সহিদুল ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পর তার খারাপ লাগতে শুরু করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সকাল ৭টার দিকে মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদে বারবার মূর্ছা যান স্ত্রী হাওয়া বেগম। বাদ জোহর সহিদুল ইসলামকে দাফনের প্রস্তুতির জন্য গোসল করানোর পর দুপুর ১২টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্ত্রী হাওয়া বেগম। স্বজনরা প্রথমে মনে করেছিলেন কাঁদতে কাঁদতে হয়তো তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। এসময় তার জ্ঞান ফেরাতে স্বজনরা মুখে পানি ছিটালেও তার কোনো সাড়াশব্দ না মেলায় তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সহিদুল ইসলাম ও হাওয়া বেগমের মেয়ের স্বামী দলিল লেখক হবিবর রহমান বলেন, সকালে খবর পেয়ে এসে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান। বাদ জোহর দাফন করার জন্য আমরা তাকে গোসল করায়। এসময় খবর পাই আমার শাশুড়ি জ্ঞান হারিয়েছেন। তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তিনিও মারা যান।
মেয়ে রুমা, দোলন ও সাহিদা বাবা-মায়ের একসঙ্গে মৃত্যুর বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না জানিয়ে বলেন, আমরা ৬ বোন বাবা ও মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেলাম।
৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান তুলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাদ আছর ডোমার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
এসজি