ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ৪ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি থেকে নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। এখন পর্যন্ত সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৪ জন নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ ইসলাম বিজয় স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের অফিশিয়াল প্যাডে ছাত্রলীগের কোদালকাটি ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু নবগঠিত কমিটি থেকে সহ-সভাপতি রাসেল মিয়া, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও সাংগাঠনিক সম্পাদক সুমন রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নবগঠিত কোদালকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগকারী রাসেল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি কোদালকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম, কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা অর্থের বিনিময় কমিটি দিয়েছে। সেই কমিটিতে আমাকে অবমূল্যায়ন করে সহ-সভাপতি রাখা হয়েছে।
ছাত্রলীগকর্মী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় আমাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ৪ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকেই পদত্যাগ করবেন, লিখিত আকারে জেলা ছাত্রলীগের কাছে জমা দেবেন।
এ প্রসঙ্গে রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ একটি বিশাল সংগঠন। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।
তিনি আরও বলেন, একটি কমিটিতে পদ প্রত্যাশী থাকেন অনেকে। সবাইকে এক পদে বসানো যায় না, সবাই যোগ্য। হয়তো মনের কষ্টে ভুল বুঝে কিংবা পদ না পেয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন। তবে শিগগিরই এসব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে এবং তারা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ ইসলাম বিজয় বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অনেকেই সিভি পাঠিয়েছে। সবাইকে তো আর পদ দেওয়া যায় না। আমরা একজনকে সভাপতি ও একজনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করি। মূল পদ না পেয়ে হয়তো তারা পদত্যাগ করছে। টাকা-পয়সার মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হয়নি। এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। একটি কুচক্রী মহল আমাদের নামে বদনাম ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সম্মেলনের দীর্ঘ দিন পর সিভি যাচাই করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি থেকে নেতা-কর্মীরা পদত্যাগ করেছেন বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে এখনো কেউ লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি।
এসজি