প্রেমিকার বিয়ের ৬দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা

'আর কখনো কারো কাছে কিছু চাইবো না। সবাই ভালো থাইকেন, আর আমার জন্য দোয়া কইরেন, ভালো থাইকেন, আর হয়তো কোন পোস্ট করা হবে না'। নিজের ফেসবুক আইডিতে এরকম পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পোশাক শ্রমিক রনি আহমেদ। শনিবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টায় শ্রীপুর থানাধীন চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
রনি আহমেদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার রঙ্গীলা বাজার এলাকার আনোয়ারা নীট কম্পোজিট মিল্স লিমিটেডে অপারেটর পদে চাকরি করতো। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ২ টার পর কোনো একসময় ঘরের আঁড়ার (স্থানীয় ভাষায় ধন্না) সঙ্গে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
নিহতের পাশের বাড়ির আতিক হোসেন জানান, একই গ্রামের প্রবাসীর মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে রনির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুই জন দেড় মাস আগে পালিয়ে গিয়েছিল। বাড়ীতে আসার ২৬ দিন পর মেয়ের অভিভাক ও পরিবার গত শুক্রবার (০৬ জানুয়ারী) উপজেলার মাওনা এলাকায় তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়।
প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে মানিসিক টেনশনে ভুগছিলো। কারো সঙ্গে তেমন কথা বলতো না। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার প্রেমিকা জামাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসলে সে দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে এতে সে মানসিকভাবে কষ্ট পেয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার রাত ২ টা পর্যন্ত পরিবারের সবার সাথে পিঠা খেয়ে ঘুমাতে যায়।
এসময় তার মাকে বলে যায় আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাব। সজাগ না পেলে আমাকে ডেকে দিও। ঘুমানোর আগে সে তার ফেসবুক আইডিতে ওই পোস্ট দেয়। শনিবার সকাল হয়ে গেলেও দরজা না খোলায় বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে রনিকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে।
চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রনির মরদেহ উদ্ধার করেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়না তদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএজেড
