আইনের তোয়াক্কা না করেই কৃষি জমিতে ইটভাটা
নীলফামারীর ডোমারে সরকারী নিয়মের তোয়াক্কা না করে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানো লাইসেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট ছাড়াই ইটভাটা চালাচ্ছেন জামিয়ার রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি। জামিয়ার রহমান অর্থের দাপট দেখিয়ে আবাদি জমি ও জনবসতি এলাকাসহ স্কুলের পাশে ২৪ ঘন্টা ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া বাজারের পাশেই এমএসবি নামে ইইভাটা তৈরি করেন স্থানীয় রুবেল নামে এক ব্যক্তি। তারকাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ভাটা চালাচ্ছেন জামিয়ার রহমান।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যামান আদালত এমএসবি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ইট পোড়ানোর আগুন পানি দিয়ে নিভে দেন এবং ভাটার একাংশ ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে দেন এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৩ সংশোধনী ২০১৯ ৫ ধারা লঙ্ঘন ও শাস্তি ১৫ ধারায় ভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমনা অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল শাস্তি প্রদান করেন। তারপর যথারিতি ভ্রাম্যমান আদালত চলে যাওয়ার পর থেকেই আবার তারা ভাটায় ইট পোড়াচ্ছেন।
ইটভাটার কারণে ক্ষতিতে পড়েছেন শত শত একর আমন ও বোরো আবাদকারী কৃষকরা। তাছাড়া রবিশষ্য, সুপারি, নারিকেল, আম-জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলন অনেক কমে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ভাটা দেওয়ার পর থেকে সুপারি গাছের ফল পরে যায়। ধান হয়না বললেই চলে। আর ভাটার বালুর কারনে বাড়ীতে থাকা দুস্কর হয়ে পরেছে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শত শত পরিবার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমান আদালত ভাটার যে অংশটুকু ভেঙ্গে দিয়েছে সেই অংশ আবার পাকা করা হচ্ছে। যথারিতি চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। রাস্তার পাশেই ক্ষেতের জমির মাটি ইট তৈরির জন্য ঢিপি করে রাখা হয়েছে। ইটভাটার আয়তন দুই একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও বিস্তৃত এলাকায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। রুবেলের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া জামিয়ার রহমান নিশ্চিত করেছেন যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র তিনি পাননি তবে আবেদন করেছেন।
ভাটায় কেন অভিযান চালানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি কারনে যে তারা এসে ভাটার এক অংশ
ভেঙ্গে দিলো সেটা বুঝতেই পারলাম না। তাছাড়া তারা ভাটা বন্ধ করতে বললেই কি আমি ভাটা বন্ধ করবো। আমি ভাটা চালিয়েই যাবো। তাদের কিছু করার থাকলে তারা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন এমএসবি ভাটায় অভিযোন চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ভাটাটি ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
এএজেড