উপকূলীয় শিশুদের উচ্ছ্বাস-আনন্দে একাত্মতায় পুলিশ সুপার
পুলিশ শব্দ টা শুনলে, যেখানে শিশুরা ও সাধারণ খুব দূরে থাকেন। সেখানে একজন জেলার পুলিশ সুপার শিশুদের কাঁধে হাত রেখে বসে পড়লেন নদীর পাড়ে। অসংখ্য ছবি তুলে পোস্টও করছেন পুলিশ সুপার তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে। ইতিমধ্যে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার প্রশংসায় ভাসছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বলছি লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফের কথা। তিনি লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকে বেশকিছু সামাজিক কাজ করে সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক পুলিশ সুপার ও একজন চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে সুপরিচিত অর্জন করছেন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে ১৯টি ছবি আপলোড করেন।
ছবির ক্যাপশনে লিখছেন, 'আমিতো এদেরই লোক। সাধারণ মানুষের অসাধারণ ভালোবাসা। মেঘনার পাড়ের সহজ-সরল মানুষের নির্মল অভিব্যাক্তি আর ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের প্রাণপন উচ্ছ্বাস আনন্দের একাত্মতায় এদের মাঝেই হারিয়ে গেলাম'।
এর-আগে বিকেলে পুলিশ সুপার আশরাফ তাঁর সপরিবারকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি মেঘনার পাড়ে বেড়াতে যান। মাহবুবুল ইসলাম নামে একজন অ্যাডভোকেট কমেন্ট করছেন, 'এ ধরনের কর্মই মহৎপ্রাণ মানুষের কাতারে হয়ত একদিন না একদিন মূল্যায়ন পাবে"। আশিস ঘোষ নামে এক ব্যক্তি কমেন্ট করছেন, 'প্রত্যেকটা মানুষ যদি এরকম হতো, তাহলে আর একটি শিশু অনাহারে মারা যেত না। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা'।
নাদিম সরকার নামে আরেক ব্যক্তি কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করছেন, 'যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। সব মায়ের গর্ভে এবং সব বাবার উদরে এমন সন্তান এর জন্ম হয়না। স্যালুট আপনাকে ভাই। নট ওয়ানলি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, আপনি সবার গর্ব। একজন পুলিশ সুপার হয়েও এমন মানবিক আচরণ সত্যি খুবি রেয়ার। ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার যদি আপনার মতো মানবিক হতো তাহলে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এর উপর সাধারণ মানুষের শতভাগ আস্থা ফিরে আসতো।
আমি গর্বিত এমন একজন মানুষ কে বড় ভাই হিসেবে পেয়ে। লাভ ইউ সো মাচ শ্রদ্ধে'। পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকে তিনি যেকোন ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন এবং কোলাকুলি ও হেন্ডশেক করেন।
এএজেড