রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাঙ্গুনিয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ১৫ হাজার ইটভাটা শ্রমিক

মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া, পানি দিয়ে মাটি নরম করা, গর্তের মধ্যে মাটি কর্দমাক্ত করা, বালি মিশ্রিত কাঁদামাটি দিয়ে ইট তৈরি করা, রোদে শুকিয়ে ইট পোড়ানো আবার মাথায় করে তৈরি করা ইট ভাটি থেকে উঠিয়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা-প্রতিদিন এসব ধুলাবালির কাজ করতে হচ্ছে ইটভাটার শ্রমিকদের। অথচ নেই কোনো ধোঁয়া রোধক মাস্ক (মুখোশ)। ফলে ধুলাবালি অবাধে শরীরে প্রবেশ করার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রাঙ্গুনিয়ার প্রায় ১২-১৫ হাজার ইটভাটার শ্রমিক। পান না চিকিৎসা ও ওষুধ। ন্যায্য মজুরির অভাবে ইটভাটার এসব শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে মালিক পক্ষের রয়েছে উদাসীনতা। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকদের এই দুরাবস্থা।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের এবিএম ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, মো, শরীফ মিয়া (৪০), মঞ্জু মিয়া (৩৯), সৈয়দুল হক ( ৫২) আজাহারুল ইসলাম (৫০) ধূলাবালি রোধক মাস্ক (মুখোশ) ছাড়া ইট ফাইলিংয়ের কাজ করছে। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এই ইটভাটায় ১৭০ থেকে ১৮০ জন শ্রমিক কাজ করছে। ২০ থেকে ২১ জন শ্রমিক ইট পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যারা একনাগাড়ে ২৭-২৮দিন নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ভাটায় আগুন দেওয়ার কাজ করছে। কারণ আগুনের তেজ কম হলে ইটের মান কমে যায়।

একটু দূরে ভাটার পাশে ২০-৩০ জন শ্রমিক বালি মিশ্রিত কাঁদামাটি দিয়ে ইট তৈরি করছে। যাদের ১৭-১৮ দিনের মধ্যে এক লাখ থেকে দেড় লাখ ইট তৈরি করতে হবে। এরপর ৮-১০ দিন রোদে শুকাতে হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছর বৈশাখ মাস পর্যন্ত প্রতিটি ইটভাটায় এভাবে ৭০-৮০ লাখ ইট তৈরি করতে হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩-৪ কোটি টাকারও বেশি।

একই ইউনিয়নের বিএসবি ও বিএনবি ইটভাটার শ্রমিক সালাউদ্দিন (৩৫), বাহারউদ্দিন(৩২) ও রিদম হোসেন (৩০) বলেন, 'ইট পোড়ানো ও তৈরির আগে উপকরণ যোগাতে শ্রমিকদের বেশি ঘাম ঝড়াতে হয়। মাটি সংগ্রহ, মাটি সংরক্ষণ, পানি দিয়ে মাটি নরম করা, গর্তের মধ্যে মাটি কর্দমাক্ত করার কাজে বেশি শ্রম দিতে হয়। শতাধিক শ্রমিক এসব কাজে সারাক্ষণ শ্রম দেয়।'

তারা আরও জানান, 'ইট তৈরির কাজে বলদের মতো শ্রম দিয়েও ন্যায্য মজুরি পায় না শ্রমিকরা। শুধুমাত্র খোরাকি (খাবার খরচ) নিয়ে ভাটায় কাজ করতে হয়।'

চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, 'টাকাই দিতে চায় না আবার চিকিৎসা। অসুস্থ কিংবা দুর্ঘটনায় হাত-পা কাটা ও শরীরের অঙ্গহানি হলে তারও চিকিৎসা মেলে না। দুই- এক দিনে সুস্থ না হলে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়। সুখে-অসুখে ইটভাটার শ্রমিকদের ছুটির কোনো নিয়ম নেই।'

অথচ শ্রম আইনে আছে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা সুবিধা প্রতিটি শ্রমিকের বৈধ এবং আইনগত অধিকার। শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত পেশাগত স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো হলো পরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং তাপমাত্রার ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা, অগ্নি সংক্রান্ত ঘটনা, কৃত্রিম আদ্রকরণ, জনবহুলতা, অতিরিক্ত ওজন, ব্লিডিং যন্ত্রপাতির সুরক্ষা, যন্ত্রপাতিকে ঘেরাওকরণ, বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস, বিপজ্জনক ধোঁয়ার বিষয়ে সতর্কতা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিধান থাকলেও রাঙ্গুনিয়ার কোনো ইটভাটায় তার প্রয়োগ নেই।

এদিকে রাজানগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্থাপিত বিএনবি ও এমবিএম ভাটার শ্রমিকরা জানান, ইটভাটায় যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করে তাদের সবাই রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালি, গাইবান্ধা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলের। এসব এলাকায় যখন কাজের অভাব দেখা দেয় তখন অগ্রিম মজুরি নিয়ে শ্রম বিক্রি করে শ্রমিকরা। এ সুবাধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার ইটভাটাগুলোতে শ্রমিকরা কম মূল্যে শ্রম দিতে বাধ্য হয়। বলদের মতো খাটুনি খেটেও ন্যায্য মজুরীর অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় শ্রমিকদের। উপজেলায় গড়ে ওঠা প্রায় সব ইটভাটার চিত্র এ রকম বলে ইটভাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান।

এ বিষয়ে এবিএম ভাটার মালিক মো. ইউনুছ কোং বলেন, 'শ্রমিকরা ইটভাটায় কাজ করলেও আমার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। কারণ শ্রমিকরা কাজ করে মাঝির অধীনে। মাঝির মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি অগ্রীম দেওয়া হয়েছে। কাজ চলাকালীন সময়ে খোরাকীর টাকাও মাঝির মাধ্যমে দেওয়া হয়। অতএব শ্রমিকদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব মাঝির। শ্রমিকদের থাকা ও চিকিৎসার বিষয়টিও মাঝি দেখেন।

এবিএম ভাটার মাঝি সৈয়দুল হক বলেন, 'শ্রমিক দিয়ে ইটভাটায় কাজ করানো আমার ব্যবসা। গত ১৫ বছর ধরে আমি এ ব্যবসায় জড়িত। আমার এলাকার শ্রমিকদের অগ্রিম বেতন দিয়ে আমি ইটভাটায় কাজ করাই। অগ্রিম মজুরি দিয়ে কাজ করাই। অনেক সময় শ্রমিকরা ইটভাটা থেকে পালিয়ে যায়। এতে মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঝি। এ ছাড়া কেউ কাজ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।

কোন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করানো হয় এবং কোন শ্রমিকের চিকিৎসা করানো হয়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে চুপষে যান তিনি। কোনো প্রতিত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, 'ইটভাটার শ্রমিকরাই বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এসব কারখানায় ধুলাবালি উড়ে বেশি। যার কারণে এখানকার নিয়োজিত শ্রমিকরা ফুসফুস সংক্রমণ এ্যাজমা, ফিওপিডি রোগে আক্রান্ত হন বেশি।
তিনি আরও বলেন, কর্মপরিবেশের দূষণ, কায়িক শ্রম, নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা, অধিক সময় বিরতিহীন ভাবে কাজ করা ও একই কাজ বারবার করায় শ্রমিকরা নানা রোগ ও শারীরিক জটিলতায় ভুগতে পারেন।

এসআইএইচ

 

Header Ad

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা আরো এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. বাহউদ্দিন কাজী দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার মোতালেব মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা (বিস্ফোরক) আইনে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এস আই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১০১(১)১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

পরে একই বছরের আগস্টে এস আই এমদাদুল হক তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মৃত অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করিম রনিকে সংযুক্ত করে ৩২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ রোববার আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ড. সহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান এলিস, আনোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন, শফিকুল আলম মিলুসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানি মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান