'আওয়ামী লীগ কি বলল তা দেখার বিষয় নয়'
বিভাগীয় শহর রংপুরে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দাবিতে বিভাগীয় শহর রংপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির শেষে বিএনপি নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ কি বলল তা দেখার বিষয় নয়, বরং আওয়ামী লীগ কি হরণ করেছে সেটি আদায় করার আন্দোলন চলছে। আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপির ১০ দফা সঙ্গে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভোট চোর সরকারকে উৎখাত করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হারিয়ে যাওয়া অধিকার এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দাবিতে বিভাগীয় শহর রংপুরে চলে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি। নতুন বছরের শুরুতে দলের এই কর্মসূচি পালন করতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। বিভাগীয় শহর রংপুরে সকাল থেকে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যে কোন ধরণের নাশকতা, সহিংসতা ও অরাজকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নগরীর প্রেসক্লাব চত্বর, বেতপট্টি মোড়, কাচারী বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাবেক এমপি হারুনুর রশিদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।
সকালে কর্মসূচির শুরুতেই বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও প্রবাসে অবস্থান করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গান পরিবেশ করেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের শিল্পীরা। গান পরিবেশের সময় ঠোঁট মেলান গণঅবস্থানে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের ওপর তৈরি করা দুটি মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে শাপলা চত্বর এবং দাবানল মোড় পর্যন্ত শত শত নেতাকর্মীরা সড়কে বিছানো কার্পেটে বসে অবস্থান নেন। গণঅবস্থান কর্মসূচির কারণে শাপলা চত্বর থেকে জাহাজ কোম্পানি মোড় পর্যন্ত সড়কের এক পাশের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
গণঅবস্থানে অংশ নিয়ে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়েছেন। এছাড়া গণঅবস্থান কর্মসূচির ফাঁকে-ফাঁকে বক্তব্য দেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এসময় বক্তারা বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া, বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই গণঅবস্থান বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে।
এএজেড