রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ফেসবুকে চেয়ারম্যানের স্ট্যাটাস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ৭নং মুছাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে ৬০০ একর সরকারি খাস জমি দখল এবং ছোট ফেনী নদী, বামনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি কোন প্রতিকার। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে খোদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ.সাহাব উদ্দিন তার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে খাস জমি দখল করে বিক্রি ও বালু উত্তোলন নিয়ে দুটি স্ট্যাটাস দেন। এতে পুরো জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এতে তিনি লিখেন,বালু উত্তোলনকারী এবং ভূমি দস্যুরা অনেক শক্তিশালী,তাদের হাত নাকি অনেক লম্বা। উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জ থানা, কোস্টগার্ড কমপক্ষে বিশবার অভিযান চালিয়েও বালুলুট, ভূমিলুট বন্ধ করতে পারে নাই, পারছে না। বিশেষ সংস্থা বালু উত্তোলনকারী দস্যুদের এবং ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পরও ছেড়ে দিয়েছে। কোথায় তাদের এত শক্তি? ভূমিহীনদেরকে বন্ধোবস্ত দেওয়া জমিও দখল বিক্রি করে দিচ্ছে। ভূমিহীনেরা অসহায়,ভয়ে দখলে যেতে পারছে না।

অপর এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,ছোট ফেনী নদী থেকে মুছাপুরে বালু উত্তোলনে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সুইস গেট যেকোনো মুহুর্তে বিলীন হয়ে যাবে। চরপাবর্তী, চরহাজারী, মুছাপুর ইউনিয়ন বিলীন হবে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখনই বন্ধ করা প্রয়োজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকায় গত ৮ মাস ধরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইযুব আলী ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীরের যোগসাজশে তার ভাই জালাল উদ্দিন এবং তাদের সহযোগী মাইন উদ্দিন দুটি ড্রেজার দিয়ে রাতদিন ছোট ফেনী নদীর ভিতরের অংশ থেকে বালু উত্তোলন চালিয়ে আসছে।

গত ১ মাস ধরে একই সিন্ডিকেট স্থানীয় মাইন উদ্দিন দয়াল নামে এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে মুছাপুর ক্লোজারের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর আরো ৩টি স্পট থেকে বালু উত্তোলন করছে। ৬০০ একর খাসজমি বিক্রি করে এই চক্র ৫ কোটি টাকা, ছোট ফেনী নদী এবং বামনী নদী থেকে গত ৮ মাসে অবৈধ ভাবে ৬ কোটি টাকার বালু উত্তোল করে হাতিয়ে নিয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, ২০১৫ সালে নির্মিত কোম্পানীগঞ্জের পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত ১৭৫ কোটি টাকায় নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার বাঁধ ও সুইস গেইট, প্রধান সড়ক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এর ফলে এলাকার ফেনী নদীর পাশে থাকা পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি হাজার হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হবে।

এর আগেও ছোট ফেনী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাকা সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেয়। আশপাশের কয়েক হাজার একর কৃষিজমি, শতাধিক বসতবাড়ি ও এলাকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বালু উত্তোলনের ফলে মাছের আবাস ও প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মুছাপুর ক্লোজার উত্তর মাথায় আর্দশ গ্রামের শৈবালে, মুছাপুর ক্লোজারের পূর্বে নতুন চরের মাথায়, মুছাপুর ক্লোজারের দক্ষিণে ফরেস্ট বাগানের পাশে ও জেলে বাড়ির একটু আগে ফেনী নদীর ২টি স্পট থেকে অবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। মুছাপুর ক্লোজার সংলগ্ন ছোট ফেনী নদী থেকে ফেনীর সোনাগাজী এলাকার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৩১ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মধ্যে হট্রগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মুছাপুর ক্লোজার সংলগ্ন ছোট ফেনী নদী থেকে চেয়ারম্যান মো.আইয়ুব আলীর যোগসাজশে বালু উত্তোলনের অভিযোগ তুলেন সেতু মন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকীন রিমন। তখন দুই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে হট্রগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

অপরদিকে, গত বছরের ২৬ আগস্ট মুছাপুর ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে খাস জমি দখল ও বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও মুছাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, আইয়ুব আলী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে লোকজনকে ভূমিহীন সাজিয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের মুছাপুর ক্লোজারঘাট পর্যটন এলাকার সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত নেন তিনি। ওই জমি পরে ওইসব লোকের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন। একই সাথে ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হলে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের লোকজন সেখানে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে উল্টো আইয়ুব আলীর বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হন। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আলীর জলদস্যু বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর মেম্বার ও তার ভাই জলদস্যু জালালের ইন্ধনে ওই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বরং পার পেয়ে এই ভূমিদস্যু, বালু খেকো সিন্ডিকেট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তাদের কার্যক্রম আরও দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীর ও তার ভাই জালাল বলেন, তারা খাস জমি দখল ও বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নেই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আইয়ুব আলী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল হক ভূঁইয়া বলেন, সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কেউ একজন মাটি নেওয়ার চেষ্টা করছে এই রকম খবর আমরা পেয়েছি। সেটা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তি বা কাউকে দোষারোপ করতে হলে আমার পর্যায় থেকে সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন বা প্রমাণসহ কথা বলতে হবে। যার কারণে এই বিষয়ে আপনাকে সুনির্দিষ্ট কিছু বলার মত আমার কাছে কোন তথ্য নেই। একাধিকবার খাস জায়গায় গড়ে উঠা ঘর গুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং বালু উত্তোলন বন্ধে ২০বার অভিযান চালানো হয়েছে।

খাস জমি দখল ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়রম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, খাস জমি দখল ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মুছাপুর ক্লোজারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমি এই সব অনিয়ম বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক কি হয়। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এএজেড

Header Ad

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা আরো এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. বাহউদ্দিন কাজী দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার মোতালেব মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা (বিস্ফোরক) আইনে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এস আই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১০১(১)১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

পরে একই বছরের আগস্টে এস আই এমদাদুল হক তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মৃত অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করিম রনিকে সংযুক্ত করে ৩২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ রোববার আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ড. সহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান এলিস, আনোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন, শফিকুল আলম মিলুসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানি মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান