শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো আর খেয়া নৌকাই যাদের ভরসা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া-কাউরাট গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী সাইডুলি নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে এখানকার কৃষি পণ্য উৎপাদন স্থানীয় ও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। উৎপাদিত কৃষি পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যায় দেশের নানা প্রান্তে। নদীর দুই তীরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল। অথচ সাইডুলি নদীর উপর ৫০ বছরেও স্থাপিত হয়নি একটি সেতু। সেতু না থাকায় অন্তত ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে গ্রামগুলোর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে সারা বছর নদী পারাপার করতে হয় খেয়া নৌকার মাধ্যমে। এতে প্রায়ই ঘটে নৌকাডুবির ঘটনা। শিক্ষার্থীদের বই, জামা-কাপড় ভিজে যেতে হয় বিদ্যালয়ে। এ ছাড়াও সেতু না থাকায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় হাটবাজারে পরিবহনের মাধ্যমে দ্রুত আনা-নেওয়া করতে না পারায় কৃষকরা বঞ্চিত হন ন্যায্য মূল্য থেকে।

জানা যায়, নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রাম দিয়ে সাইডুলি নদী প্রবেশ করে একই ইউনিয়নের ইটাচকি, শিমুলাটি, গনিতাশ্রম, কাউরাট কোনাপাড়া, পাঁচহার হয়ে পার্শ্ববর্তী কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগবাজার ত্রিবেনী ঘাটে গিয়ে মিলিত হয়েছে। যে কারণে নওপাড়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া ও পাঁচহার গ্রাম দুটির ভৌগোলিক অবস্থান নদীর পূর্ব পাশে।

এ ছাড়াও আশপাশে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় কোনাপাড়া খেয়াঘাট পার হয়ে ইউনিয়নটির ইটাচকি, শিমুলাটি, গনিতাশ্রম, কাউরাট, কোনাপাড়া, পাঁচহার, কুতুবপুর এবং পার্শ্ববর্তী মদন উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষকে দৈনন্দিন কাজে সাইডুলি নদী পারাপার করতে হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে সাইডুলি নদীতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নদীতে সেতু না থাকায় এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে যোগাযোগে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার-ওষুধ পরিবহন, জমির ফসল কেনা-বেচা ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাকে।

তারা আরও জানান, এলাকাবাসীকে যেকোনো প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাশে যেতে হলে বর্ষায় নদী সাঁতরে বা খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হয়। আর শুকনা মৌসুমে নদীর পানি কিছুটা কমে গেলে নদীতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হতে হয়। এতে তারা পিছিয়ে পড়ছেন নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে।

কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুকনা মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকে। তাই আমরা বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করে কোনোমতে নদী পারাপার হই। আমাদের দুঃখ-কষ্ট দেখার তো কেউ নেই। নির্বাচনের সময় নদীতে সেতু করে দেবেন বলে সবাই ভোট খুঁজতে আসে। এভাবেই চলে গেল ৫০ বছর। সেতু আর হয় না।

তিনি বলেন, বর্ষাকালে নদীতে কমপক্ষে ৩০ ফুটের মতো গভীর পানি থাকে। স্রোত থাকে প্রচুর। তখন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া দিয়ে আমরা নদী পার হই। এ সময় আমাদের ছেলে-মেয়েরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। এ কারণে আমাদের ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারি না। তাই দ্রুত নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এমপিসহ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

কাউরাট গ্রামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী রহমত মিয়া বলেন, পড়াশোনার তাগিদে প্রতিদিনই আমার মতো শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে এই নদী পার হতে হয়। নদীতে সেতু না থাকায় আমরা সব সময় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছি। অন্তত আমাদের কষ্টের কথা ভেবে হলেও অচিরেই যেন সরকার এখানে একটা সেতু নির্মাণ করে দেয়।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সাইডুলি নদীর কাউরাট-কোনাপাড়া এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যাবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তার কঠোর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী এবং মানুষ খুন করেছেন তাকে আমি ‘নারী’ বলতে রাজি নই। ‘নারী’ হওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো তার মধ্যে নেই।”

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (সিআইবি) এবং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এনহেন্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (উইন) উদ্যোগে আয়োজিত ‘24 গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নারী ও গণক্ষমতায়ন: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, “১৯৯১ সালে এরশাদকে হটিয়ে আমরা নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিলাম। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর আমরা এক ফ্যাসিবাদীর অধীনে ছিলাম। আমি তাকে ‘নারী’ বলতে পারি না। ‘নারী’ হওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো তার মধ্যে ছিল না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেবল নারীর অধিকার চাই না, পুরুষের অধিকারও চাই না। আমরা চাই মানুষ হিসেবে সবার সমান অধিকার। নারীরা কান্না করে মনের কষ্ট প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু পুরুষরা সেই সুযোগটিও পায় না। এটা খুবই দুঃখজনক।”

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। তারা ন্যায়ের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা দরকার।

সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেজবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ম আ কাশেম মাসুদ, রাজনৈতিক গবেষক প্রকৌশলী লোকমান লিমন, নারী উচ্চারণ ও খেদমত ই-কমার্স প্রেসিডেন্ট সামিয়া রহমান, যুব সংগঠক পিংকি কণিকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর কামরুল ইসলাম জুয়েল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, স্বদেশী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আল আমিন রাজু এবং এশিয়ান সাইন্টিস্ট ও মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. সালমা সুলতানা।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

Header Ad
Header Ad

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান

ছবি: সংগৃহীত

নাসার পার্কার সোলার প্রোভ মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে সক্রিয় অবস্থায় থেকে ইতিহাস গড়েছে। সূর্যের চরম তাপ ও বিকিরণ সহ্য করে মহাকাশযানটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) এটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সংকেত পাঠিয়েছে।

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরত্বে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোভ। তুলনামূলকভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। নাসা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং এটি নিরাপদ রয়েছে।

সূর্যের কার্যপদ্ধতি, সৌরঝড়, এবং সূর্যের শক্তিকণা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’ কেন এত উত্তপ্ত, তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন।

মহাকাশযানটি ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে। এটি বিশেষ কার্বন ঢাল (১১.৫ সেন্টিমিটার) এবং তাপ সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। দ্রুত গতির জন্য এটি মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে তার গতি বাড়ায়। পার্কার সোলার প্রোভ এত দ্রুত চলে যে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে এর সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, “সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ না করলে এর প্রকৃতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।” মহাকাশযানটি ইতিমধ্যেই সূর্যকে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশযানটিকে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’-তে পাঠানো। করোনার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ এবং সূর্যঝড়ের বিষয়ে নতুন তথ্য উদঘাটন করার প্রত্যাশা করছেন তারা।

ড. জেনিফার মিলার্ড বলেন, “করোনা এত উত্তপ্ত কেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানি না। আশা করি, এই মিশন রহস্যের জট খুলে দেবে।”

সূর্য এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহে পার্কার সোলার প্রোভ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। একইসাথে ব্যাংক সেক্টরও আস্তে আস্তে সচল করছে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মাওলানা আজীজুর রহমান, জামায়াতের ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও নড়াইল জেলা শাখার আমিরসহ যশোর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশকে নাকি তারা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে রোল মডেল বানিয়েছিল। অথচ এখন চারদিকে হাহাকার। মিল, ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা তাদের কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না। সরকারি ইন্ডাস্ট্রি সব লেআউট হয়ে পড়ে আছে। সৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। সমস্ত ব্যাংক ফোকলা করে পেট খালি করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের রিজার্ভ বাড়ানো ও ব্যাংক সেক্টরকে সচল করার প্রশংসা করলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য ও সিন্ডিকেট বিদ্যমান থাকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন আগুন, মানুষ পেট ভরছে আগুন দিয়ে’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আগের সিন্ডিকেটগুলো এখনও ভাঙতে পারেনি সরকার। ক্ষেত্রবিশেষে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। একজন চাঁদাবাজি করে পেট ভরে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ এসে চাঁদাবাজিতে লেগে যাক সেটা আমরা চাই না। কিন্তু দেশ এখনও চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, জুলুমমুক্ত হয়নি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান নয়, সমতা নয়, ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে জামায়াত।’ তিনি বলেন, ‘অধিকারের জন্য কাউকে হাহাকার করতে হবে না। বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড সোজা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও দ্বিতীয় কোন চোখে দেখবে না সেই বিচারবিভাগ। ইনসাফ কায়েম করতে পারলে কাউকে অধিকার চাইতে হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে খুঁজে খুঁজে যার যার দায়িত্ব তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

দেশের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে যুবক-যুবতীরা দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য ঘুরছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষার যে নৈতিক মান হওয়া, তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একেবারে বিদায় নিয়েছে।’

স্বৈরাচার হটানো আন্দোলনে সকল দলের শহীদ, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, জেল খাটা ও মামলার শিকার হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দুই হাজারেরও বেশি সন্তান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের উন্মুক্ত পরিবেশ দিয়ে গেছে। তাদের রক্তের সাথে যেন আমরা বেইমানী, বিশ্বাসঘাতকতা, গাদ্দারি না করি। তারা বৈষম্য, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ দিয়েছে। এখন যদি একই কাজ কেউ করেন, নিঃসন্দেহে তারা ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু