কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বোরো বীজতলা, শঙ্কায় কৃষক
কুড়িগ্রামে টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা গুলো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ায় বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক। সোমবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের বীজতলাগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণ ধারণ করে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে চারা সংকটের আশঙ্কায় ভুগছেন প্রান্তিক চাষিরা। তবে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক ছোবেদ আলী ও জয়নাল আবেদীন জানান, টানা কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের চারাগুলো হলুদ ও লাল বর্ণ ধারণ করে গোড়ায় পচন ধরে মরে যাচ্ছে। ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলায় বাড়তি পানি দিয়েও তেমন কোনও উপকার হচ্ছে না। শীত ও কুয়াশার তীব্রতা অপরিবর্তিত থাকলে অধিকাংশ বীজগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ইরি- বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ।
প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি - বোরো রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজ বপণ করা হয়েছে। সব বীজতলা কোল্ড ইনজুরীতে আক্রান্ত না হলেও কিছু কিছু বীজতলা আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।
আমরা মাঠে গিয়ে প্রান্তিক কৃষকদেরকে বীজতলা রক্ষার্থে ছত্রাকনাশক স্প্রে বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়ার পরামর্শও অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করেছে। আশাকরি বপণকৃত বীজতলা দিয়েই আসন্ন চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
এএজেড