ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে আদালত বর্জন কর্মসূচি, চরম ভোগান্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আদালত বর্জন কর্মসূচির ৩য় দিন চলছে। আজ সোমবার সকাল থেকে জেলার কোন আদালতেই যায়নি আইনজীবীরা। আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এদিকে বিচারপ্রার্থীরা দূর দূরান্ত থেকে আসলেও আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার। এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতে এসে রীতিমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচার প্রার্থী জনগন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জাড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবী জানান। আইনজীবীদের অভিযোগ জেলা জজ ওই নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজরে ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে।
সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবী জানান।
এএজেড