ফেনীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৩
ফেনীতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ মিছিল করলে মিছিলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক সম্পদ ক্রোকের আদেশের প্রতিবাদে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হলে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। অপরদিকে ছাত্রদল দাবী করছে তাদের ৭/৮ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জানুয়ারী) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি বের হতেই পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। পরবর্তীতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শহরের ট্রাংক রোড ট্রাফিক মোড় পেরিয়ে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হলে লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। পরে সেখান থেকে কয়েকজন নেতা কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ তাদেরকে মিছিল নিয়ে সড়কে উঠতে না করে। তারা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা না শুনে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ায় পুলিশ সেখান থেকে তিন জনকে আটক করে, মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন জানান, তারেক রহমানের স্থাবর কোনো সম্পত্তি নেই। তাহলে আদালত কি করে সম্পত্তি ক্রোকের এই রায় প্রদান করে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আর সেই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের বাঁধা, লাঠিচার্জ আর নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা জানাই।
ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, পুলিশ বিনা উষ্কানীতে মিছিলে পেছন থেকে হামলা করেছে। এমন হামলা ন্যাক্কারজনক। তিনি জানান, ছাত্র দলের ফেনী পৌর মো. ইয়াসিন, ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাউসারসহ ৭/৮ জন নেতা-কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এএজেড