কুড়িগ্রামে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে হাড় কাঁপানো শীতে নিদারুন কষ্টে পড়েছে মানুষ। বাড়ছে শীতবস্ত্রের চাহিদা। ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে যা বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ভারত সীমান্ত ঘেষা এই জেলায় প্রথম পৌষ থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। দিনে-রাতে সর্বদা প্রবাহিত হচ্ছে হিমেল হাওয়া। কমে গেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।
এদিকে কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়া পুরো জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে ঠাণ্ডার তীব্রতা। আর এই ঠাণ্ডা মানুষের শরীরে বিধছে সুইয়ের মতো। স্বচ্ছলরা শরীরে মোটা কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করলেও নিম্নবিত্ত, অস্বচ্ছল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন মহাবিপদে। হাড় কাঁপানো এই শীতে কাঁপছেন তারা। খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। সামগ্রিক এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে শীত বস্ত্রের চাহিদা। এই জেলায় অধিকাংশই খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত আসলেই তাদের কষ্ট ও দুর্ভোগে বাড়ে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, ১ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় শীতবস্ত্রের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার। আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি মাত্র ৭ হাজার ৫০০ কম্বল, যা ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আরো ১৫ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠিয়েছি। পেলে তা বিতরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০০ ও একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার দেওয়া ৩০০ কম্বল বিতরণ করেছি। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, ইতিমধ্যে জেলায় ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে আমরা নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর জানান, তিনিও ব্যাক্তিগতভাবে ৫০০ কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেছেন। কিন্তু চাহিদা আরো অনেক বেশি।
এদিকে আগামী এক সপ্তাহে এই জেলার তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এসআইএইচ