জেলের বড়শিতে মিলল ৩৫ কেজি ওজনের দুটি কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপ সীমান্তের নাফ নদীতে ৩৫ কেজি ওজনের দুটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে এক জেলের বড়শিতে। পরে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের কাছে বিক্রি করে দেন।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকার জেলে আমির হোসেনের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে। এর মধ্যে বড় কোরালটির ওজন ১৮ কেজি ও ছোট কোরালটির ১৭ কেজি।
জেলে আমির হোসেন জানান, সকালে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে বসে নাফ নদীতে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারি মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। এরপর তিনি আবারও বড়শি ফেলেন। তিন বার বিফল হন। কিন্তু চতুর্থবারে আরও একটি মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ১৮ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দুটি দেখতে জেটিতে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
আমির আরও বলেন, ইদানিং নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। সকালে ৩৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ দুটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান, মাছ দুইটি পৌরসভার বাস স্টেশন মাছ বাজারে নিয়ে আসার পর প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করার জন্য দাম ধরেছিলাম। পরে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কেজি ১ হাজার টাকা দামে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। এরা সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কখনও কখনও এর চেয়ে বেশি ওজনেরও পাওয়া যায়। প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
এসআইএইচ