রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি স্কুলে ভর্তির চাহিদা থাকলেও ফাঁকা হোস্টেলের অর্ধেক সিট

টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির চাহিদা কয়েকগুণ বেশি থাকলেও ফাঁকা পড়ে আছে হোস্টেলের অর্ধেক সিট। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩৬০টি আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৬৭৯ জন আবেদন করেছে। ৮ম শ্রেণির শূন্য ১৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ১ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়াও বিদ্যালয়ে ভর্তি ছাত্র সংখ্যা ১ হাজার ৮০৩ জন। হোস্টেলের ৩২টি সিটের মধ্যে ১৬টিই খালি। সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপার, বাবুর্চি, হোস্টেল বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকাসহ অভিভাবকদের ছাত্র পথভ্রষ্ট হওয়ার শঙ্কাই হোস্টেল সিট ফাঁকা থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ১৮৮০ সালে ৫২৪ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এটি টাঙ্গাইল পৌর শহরে অবস্থিত। পরে ১৮৮০ সালের ৩ এপ্রিল কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী টাঙ্গাইলের একটি সাধারণ বিদ্যালয়কে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করেন।

ওই সময়কার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক গ্রাহামের নামে এর নামকরণ হয় গ্রাহাম ইংলিশ হাই স্কুল। পাঁচ বছর বিদ্যালয়টি অর্থ সমস্যার ভেতর দিয়ে পরিচালিত হওয়ার পর আর্থিক সুবিধার জন্য টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার নবাব বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী কাছে বিদ্যালয়টি দেওয়া হয়। জমিদার দুই বছর বিদ্যালয়ের পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করেন।

এরপর ১৮৮৭ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষের ভূম্যধিকারিণী বিন্দুবাসিনী রায় চৌধুরানী বিদ্যালয়টি পরিচালনার ব্যয়ভার নেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়। ১৯১০ সাল পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ের ব্যয়ভার বহন করেন তিনি। ওই বছর ট্রাস্ট গঠন ও ট্রাস্ট সম্পত্তি আকারে তা সরকারের কাছে দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়টি সরকারি অর্থসহায়তায় পরিচালিত হয়।

বিন্দুবাসিনী রায় চৌধুরানীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে জমিদার প্রমথ নাথ রায় চৌধুরী ও মন্মথ নাথ রায় চৌধুরী বিদ্যালয়ের স্থান, উদ্যান, নিউ মার্কেটসহ ছাত্রাবাস ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন পুকুরের জায়গা বিদ্যালয়ের নামে দান করেন এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেন।

১৯৭০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়ে প্রভাতী ও দিবা শাখা নামে দ্বৈত শিফট চালু করা হয়। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি বাংলাদেশের সেরা উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ার খেতাব অর্জন করে। বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেদের শিক্ষা দেওয়া হয় এবং পরে তারা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে টিনশেড ও একতলা বিশিষ্ট কক্ষে হোস্টেল কার্যক্রম চালু থাকলেও ২০০৫ সালে দ্বিতল বিশিষ্ট ৩২ শষ্যার একটি পাকা হোস্টেল ভবন উদ্বোধন করেন তৎকালীন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান। বর্তমানে হোস্টেলের সিট বাবদ মাসিক ভাড়া ১ হাজার, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ আনুশঙ্গিক ১ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জনপ্রতি ছাত্রের খাওয়া বাবদ খরচ লাগছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮০৩ জন। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সংখ্যা ৩৭৭ জন। এর মধ্যে প্রভাতী শাখা ১৮৫ আর দিবা শাখায় ১৯২ জন। সপ্তম শ্রেণির মোট ছাত্র সংখ্যা ৩৪১ জন।

এর মধ্যে প্রভাতী শাখায় ১৭৯ আর দিবা শাখা ১৬২ জন। অষ্টম শ্রেণির মোট ছাত্র সংখ্যা ৩৬৭ জন। তারমধ্যে প্রভাতী শাখায় ১৮৩ আর দিবা শাখায় ১৮৪ জন। নবম শ্রেণির মোট ছাত্র সংখ্যা ৩৬০ জন। এর মধ্যে প্রভাতী শাখায় ১৭৯ আর দিবা শাখায় ১৮১ জন। দশম শ্রেণির মোট ছাত্র সংখ্যা ৩৫৮ জন।

এর মধ্যে প্রভাতী শাখা'য় ১৭৯ আর দিবা শাখা'য় ১৭৯ জন। এছাড়াও আগামী বছর বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ৩৬০টি আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৬৭৯ আর অষ্টম শ্রেণির শূন্য ১৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১ হাজার ৬৯২টি। প্রতিটি কক্ষে ও পৃথক সিটে চারজন করে ছাত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকার বিছানা, পোশাক রাখার ব্যবস্থা ও পড়ার টেবিলও ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয়েছে। কক্ষে ফ্যানসহ রয়েছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা।

হোস্টেলে থাকা ছাত্র তাসিন আহাম্মেদ। সপ্তম শ্রেণির এ ছাত্রের বাড়ি গাজীপুর জেলায়। সে জানায়, দুই বছর ধরে হোস্টেল থেকে লেখাপড়া করছে সে। হোস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারের আচার আচরণসহ থাকার পরিবেশ ও খাওয়া-দাওয়ার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও মাঝে মাঝে অভিভাবকরা এসে তার খোঁজখবর নিয়ে যান বলে জানায় সে।

হোস্টেলে অবস্থানরত বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামের বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বিশাল চন্দ্র সরকার জানায়, গ্রাম থেকে এসে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ছয় মাস আগে হোস্টেলে উঠেছে। হোস্টেলে জনপ্রতি ছাত্রের ৫ হাজার টাকার মতো খরচ লাগছে।

হোস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, ২০১৭ সাল থেকে হোস্টেল সুপার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সরকারিভাবে হোস্টেল সুপার, বাবুর্চি, হোস্টেল বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্ত হোস্টেল সুপার না থাকায় অভিভাবকদের মাঝে শঙ্কা কাজ করে। এ কারণেই হোস্টেলে ছাত্র সংখ্যা কম। হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্ররা বেশ সংগঠিত। হোস্টেলে ভালো পড়ালেখাও হয়। বিগত সময়ে বুয়েটে চান্স পাওয়াসহ এসএসসি ও জেএসসিতে স্কলারশিপ পাওয়ার রেকর্ডও আছে এ হোস্টেলের।

তিনি জানান, হোস্টেলের কোনো ছাত্র বিপথে গেছে এমন রেকর্ড নেই। এছাড়া বিদ্যালয়ের সব শ্রেণির পরীক্ষায় হোস্টেলের ছাত্রদেরই ভালো রেজাল্ট করতে দেখা গেছে। হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্রদের জন্য রয়েছে কমনরুম ও খেলাধুলার সুবিধা। হোস্টেল সিট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ জনপ্রতি ছাত্র ১ হাজার টাকা খরচ দিচ্ছে। এছাড়া নিজেদের খাবার খরচ ছাত্ররাই বহন করছে।

এ বিষয়ে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম জানান, সরকারিভাবে হোস্টেল ভবন নির্মাণ ছাড়া কোনো ধরণের বরাদ্দ দেওয়া হয় না। হোস্টেলের উপার্জন দিয়েই রক্ষণাবেক্ষণ করাসহ অবস্থানরত ছাত্রদের সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিবেশ সচল রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে হোস্টেল সুপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ছাত্রদের তত্ত্বাবধান চলছে। সন্তানের পড়ালেখার জন্য অনেক অভিভাবক শহরে বাসাভাড়া নিয়েও বসবাস করেন। এ কারণেও হোস্টেলে ছাত্র সংখ্যা কম।
এএজেড

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি