মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কুমিল্লায় এক বছরে ৮৩ খুন

গত এক বছরে কুমিল্লা জেলায় ৮৩টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব-রেষারেষি ছাড়াও মুরগি চুরি, ঘাস কাটা নিয়ে তর্ক, পাতা কুড়ানো, গাছ কাটা, মাইক্রোবাসের ভাড়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনার কারণেও ঘটেছে খুনের ঘটনা। তবে জেলাজুড়ে বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে পারাবারিক কলহ এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে। যার ‘ধারাবাহিকতা’ বছরের শেষ দিন এবং চলতি বছরের প্রথম দিনও লক্ষ্য করা গয়েছে। গত দুই দিনে পরপর দুটি হত্যকাণ্ড ঘটেছে কুমিল্লায়।

জেলা পুলিশের তথ্য মতে, নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় খুনের সংখ্যা ৭৬টি। ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত খুন হয়েছে আরও ৭টি। গেল বছরে কুমিল্লায় পারাবারিক কলহের জেরে খুন হয়েছে সবচেয়ে বেশি ১৪টি। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হয়েছে ১০টি। আধিপত্যসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হয়েছে তিনটি। এ ছাড়া পুলিশ বলছে, অজ্ঞাত কারণে খুনের সংখ্যা ১২টি। এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি, ধর্ষণের পর হত্যা, ভারত সীমান্তে হত্যা, পুরাতন মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়, মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র খুন, কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্ত হয়ে বন্ধুকে হত্যা, পরকিয়া প্রেমের বিরোধে, মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে অন্যসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, এসব হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার মধ্যে ৫২টির তদন্ত চলছে। এ ছাড়া ২৪টির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট এজাহারনামীয় আসামি ২৭১ জন। গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ১২২ জন। ১৬৪ ধারায় জবানবান্দি দিয়েছে ৩৭ জন।

তিনি আরও জানান, খুনের মামলাগুলো সব সময়ই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। প্রতিটি মামলায়ই দৃশ্যমান অগ্রগতি রয়েছে এবং অনেক মামলায়ই বিচারাধীন। আমরা চেষ্টা করছি মামলাগুলো গুরুত্ব অনুসারে আমলে নিয়ে তদন্ত করছি।

কুমিল্লা আদালতের আইনজীবী এএমএম মঈন জানান, আদালতে সাক্ষীদের অনিয়মিত উপস্থিতির প্রবণতা থাকায় হত্যা মামলায় বিচারকার্য ধীর গতিতে হয়। এব্যাপারে মামলার স্ব স্ব তদন্ত কর্মকর্তাকে সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া সাক্ষীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। শুনানিতে সাক্ষীদের নিয়মিত উপস্থিতি হত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক।

তিনি আরও জানান, পারিবারি কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড বেশি হওয়ার কারণ সামাজিক মূল্যবোধ কমে যাওয়া। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের ঝগড়া নিষ্পত্তি না করে তা বাড়তে দিলেই কোনো কোনো ঘটনা হত্যাকাণ্ডের মতো নির্মম পরিণতির দিকে যায়। তাই পারিবারিক সম্পর্কগুলো আমাদের ঘর থেকেই তৈরি করতে হবে এবং ধৈর্য্যের সঙ্গে এসব বিষয় মোকাবিলা করতে হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘সম্পদ ও সম্পত্তির দাম দিন দিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। যা ন্যায্য নয়। যার লাগাম সরকার বা সমাজ কেউই ধরে রাখতে পারছে না। যার কারণে মানুষের ভোগবিলাস আর লোভের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই মানুষ শুধু চায় আর চায়। তা ছাড়া আমাদের চাওয়া পাওয়ার মাত্রাও দিন দিন আকাশচুম্বী হচ্ছে। অন্যের জিনিসে আমাদের জোর খাটানো ঐতিহ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই সম্পত্তির লোভে কেউ কাউকে খুন করতেও দ্বিধা বোধ করে না।

এসএন

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়া গৃহকর্তাকে প্রথমে পানি খাইয়ে সেবা করে পরে ঘরের মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার (৬০) জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে তার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে নিজেদের পরিচয় দেয়। তখন তিনি ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে সেবা করে। এরপর একাধিক আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী ঘরে ছিলাম। ডাকাতরা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। বরং আমি অসুস্থ হলে তারা আমাকে পানি খাওয়ায়।”

একই রাতে সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধাপাকা ঘরে ঢুকে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের চোখ-মুখ বেঁধে রাখে এবং ঘর তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই ঘর থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি