নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষ
বছরের শেষ দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। বছরের শেষ দুই দিনই সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। এই ছুটিতে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি ও শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটে এসেছে লাখো পর্যটক। প্রতিবছরই ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় দিতে এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে।
তবে এ বছর সমুদ্র সৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কনসার্ট বা গানবাজনার অনুষ্ঠান না থাকায় পর্যটকের উপড়ে পড়া ভিড় থাকছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অবশ্যই তারকা মানের হোটেলগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটকদের একটি বড় অংশ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের জন্য আসে। এ বছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে অনুমতি না পাওয়ায় পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম। কেবল গত সপ্তাহের তিন দিনের ছুটিতে বেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছে।
শনিবার সকালে কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক হাজার পর্যটক সমুদ্রে সৈকতে স্নান ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মজেছে। বিভিন্ন বয়সের পর্যটকদের কেউ টায়ার টিউবে গা ভাসাচ্ছে, কেউ জলযান (জেটস্কি) নিয়ে সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কেউ আবার ঘোড়া ও বিচ বাইকে উঠে সৈকত দর্শনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
অনেকেই মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতেও ছুটছে। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধপল্লি, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, নিভৃতে নিসর্গসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক সমাগম রয়েছে বলে জানান পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যরা। সুগন্ধা সৈকতের ইকো-ট্যুরিজম সিস্টেমের সেইলর বিচ রিসোর্টের ২০টি কক্ষেই আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত কক্ষ বুকিং রয়েছে বলে জানান রিসোর্টটির পরিচালক বেলাল আবেদীন ভুট্টো।
বেলাল আবেদীন বলেন, এবার নতুন বছরে পর্যটকের চাপ কম। কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে।
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, তারকা মানের হোটেলগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। কক্সবাজারে বর্তমানে তিন লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় বাড়তি টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটক হয়রানি দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।
এএজেড