সুনামগঞ্জ পৌরশহরে সড়কের বেহাল দশা: নেই সংস্কারের উদ্যোগ!
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে সড়কের পিচ-খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। এতে যান চলাচল করতে হয় ধীরগতিতে। গর্তে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সরকার এই সড়কের জন্যে বড় অঙ্কের বরাদ্দ দেয়, কিন্তু ঠিকাদার সিন্ডিকেট আর কর্তিপক্ষের অবহেলার কারণে সড়কের কাজ মোটেও যথাযথ টেকসই হয় না, ফলে একদিকে সড়কের কাজ করা হয় আর অন্যদিকে সাত/আট মাস পার হওয়ার আগেই সড়কটি ভেঙ্গে যায়।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর-ধারারগাঁও প্রধান সড়কের বেশ স্থান বড় বড় আকারে ভেঙ্গে যান চলাচলের অনুপযোগী। এসময় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,এসড়ক ভাঙ্গাতে বহুবার দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে হয়েছে পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে। তাও এলাকাবাসীদের অভিযোগ-বহু যন্ত্রণা দেখেও হুঁশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ সড়কের যথাযথ মজবুত কাজ করেনি কোনোবছরই। জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত আরও কতদিন চলতে হবে এসব এলাকাবাসীর?
ধারারগাঁও এলাকার সিএনজি চালক এরশাদ আলী ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, আমরা একালাবাসী এই সড়কে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হয়। গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে ভয় হয়, ভাঙ্গায় পরে গাড়ি উল্টে পরে যায়। প্রতিদিন দু-একটা দুর্ঘটনা ঘটে।গত মাসে আমিও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি,আমার গাড়ি উল্টে পড়ায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই এই সড়কটা দ্রুত যেনো মেরামত করা হয়।
জনবহুল ও জনবসতীপূর্ণ শহরের নবীনগর-ধারারগাঁও প্রধান সড়কটি। এই সড়কে সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, ধারারগাঁও, খাইমতর, হালুয়ারঘাট এলাকাসহ সুরমা নদীর ওপারে ৩টি ইউনিয়নের লাখও মানুষ প্রতিদিনই অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, হাট-বাজারসহ সব জরুরি কাজে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্ষায় বন্যা আসলে স্রোতে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সড়কটির। স্থানীয়দের অভিযোগ এসড়কের জন্যে বড় অঙ্কের বরাদ্দ আসে কিন্তু মজবুত কাজ না হওয়ার কারণে বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রধান সড়কটি ভেঙ্গে যায়।
মজবুত সড়ক আর দ্রুত কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সমাজসেবক তায়েফ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিবার সড়ক ভাঙ্গা থেকে রক্ষা পেতে হলে এবার সড়কের দুপাশে গাইডওয়াল দিয়ে আরসিসি ঢালাই সড়ক নির্মাণ করতে হবে। এসব এলাকায় বিটুমিনের সড়ক টিকবে না, বিটুমিনের সড়ক হলে বার বার ভাঙ্গবে আর প্রতিবছর সড়ক ভাঙ্গলে দূর্নীতিবাজদের পকেট গরম হবে। আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লেগেই থাকবে।
সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, আমরা আসা করছি এমাসের মধ্যে এই সড়কের জন্যে আমাদের একটা প্রজেক্ট পাবো, আগামী ফেব্রুয়ারীর মধ্যে নবীনগর-ধারারগাও সড়কটি বিটুমিনের বদলে আরসিসি ঢালাই সড়ক নির্মাণ করবো, বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে সহজে এই সড়ক ভাঙবে না, সাধারণ মানুষের আর ভবিষ্যতে এই দুর্ভোগও থাকবে না।
