রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রসিক নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির নেপথ্যে

রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নয় বাকি সাত প্রার্থীরও ভরাডুবি হয়েছে। জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বাকি সাত প্রার্থীরা। সিটি নির্বাচনের ফলাফলে মোস্তফার ধারের কাছে পৌঁছাতে পারেননি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এমন পরাজয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ভরাডুবির জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা, যোগ্য প্রার্থী বাছাই না করা, সময় স্বল্পতাসহ নানা কারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

এ নির্বাচনে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ ভোটারের মধ্যে দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর এমন শোচনীয় পরাজয়ে রংপুরে উঠেছে নানান আলোচনার ঝড়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রার্থীর গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রার্থীর সঙ্গে নগর বাসীর জনসম্পৃক্ততা না থাকাসহ একেবারে অপরিচিত বলে অভিযোগ এনেছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বলছেন, নিজ দলের সমর্থকদের ভোটই পাননি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী। ভোট পেলে এমন ভরা ডুবি হতো না ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে জানা গেছে, অনেক কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টও ছিল না।

গত মঙ্গলবার রংপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন সাত দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে ২২ হাজার ৪৭৮ ভোট পেলে জামানত ফেরত পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেন। এ ক্ষেত্রে ১৭২ ভোট কম পেয়ে জামানত হারিয়েছেন তিনি।

রংপুর নগরবাসী বলছেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন। কখনো তাকে জনগণের পাশে তাকে দেখা যায়নি নগরবাসী চেনেন না। নির্বাচনের আগে তার দৃশ্যমান কোনও কর্মকাণ্ড ছিল না তার। এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা তাকে ভোট না দেওয়ায় শোচনীয় পরাজয় হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মহানগর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী ও ভোটাররা বলছেন, ডালিয়া প্রার্থী হবেন এবং নির্বাচন করবেন- এমন কোনও প্রস্ততি ছিল না। নির্বাচনে আগে তিনি কখনও ২০৫ বর্গ কিলোমিটারের রংপুর সিটি করর্পোরেশনে কোন এলাকায় যাননি। কোনও সামাজিক বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে কেউ দেখেননি।

অপরদিকে, আওয়ামী লীগের যে নেতারা নির্বাচনের দুই বছর আগে থেকে পুরো সিটি করর্পোরেশন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন, দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন, জনগণের কাছাকাছি থাকার জন্য কাজ করেছেন- তাদের কাউকেই মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন পাওয়া ডালিয়া দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করার কোনও চেষ্টাই চালাননি।

ক্ষমতাসীন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কোন চেষ্টা তিনি করেননি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত করার উদ্যোগও নেননি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিনি প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট হিসেবে কাউকে নিয়োগ করেননি।

এ নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষুব্ধ বলে জান গেছে। এমনকি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দলের নেতাকর্মীদের একটা প্ল্যাটফর্মে আনার কাজটি তিনি করেননি। শুধু তাই নয় এই বিশাল সিটি করর্পোরেশনে ওয়ার্ডভিত্তিক কিংবা ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বচনী কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।

সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব না থাকা এবং দলের নেতা কর্মীদের ন্যুনতম ব্যয় নির্বাহের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে এমনটা হয়েছে। এমন কারনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনীকে কাজে লাগানোর বাস্তবমুখী কোন পদক্ষেপ আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেননি।

নির্বাচনের দিন সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ২২৯টি ভোটকেন্দ্রের কমপক্ষে শ'দেড়েক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর কোনও পোলিং এজেন্ট ছিল না। যারা ছিলেন, তারা ভোট চলাকালেই চলে গেছেন। এমনকি অনেক কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডালিয়ার কোনও পোস্টার দেখা যায়নি।

রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লতিফুর রহমান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছু দিন আগে থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন। সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে অংশ নেন। দলীয় নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কার হওয়ার পরও তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মীকে প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে।

নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান পুরো সিটি করর্পোরেশন এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে তার নামটা প্রতি এলাকায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন।সে তুলনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা ছিল একেবারে নগণ্য। নির্বাচনে এই বিদ্রোহী প্রার্থী যে আবেদন সৃষ্টি করেছেন তার ১০ ভাগও আওয়ামী লীগ প্রার্থী করতে পারেননি বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এর প্রমাণ মিলেছে ভোটে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও বিদ্রোহী প্রার্থীর জামানত ঠিক আছে।

রংপুর সিটি করর্পোরেশন এলাকার ছয় থানা ও ওয়ার্ড কমিটির একাধিক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রথমতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা করার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৩ দিন। দলের নেতাকর্মীরা ভোট দিলেও দলের সমর্থক সহ অনেকেই ভোট দেননি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, বিগত সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী প্রয়াত শরফুদ্দিন আহামেদ ঝন্টু ৬৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ছিল। এবারের প্রার্থীর জন সম্পৃক্ততা না থাকা, ভোটারদের কাছে যেতে না পারা সহ নানান কারণে শোচনীয় পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট যোগ করলে ভোটের পরিমাণ প্রায় সমান বলে তিনি দাবি করেন।

নির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক ছিল না তাকে নগরবাসী ঠিকমত চেনেন না। অনেকে নামও জানেন না। দলের নেতাকর্মীরা তাকে ভোট দেননি এবং তার পক্ষে কাজ করেননি। দলের নেতাকর্মীরা ভোট দিলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হতো না। এর দায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এড়াতে পারে না।

এব্যাপারে জানতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে বৃহস্পতিবার সন্ধায় মোবাইল নম্বরে একাধিক বার মোবাইল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এএজেড

Header Ad

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা আরো এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. বাহউদ্দিন কাজী দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার মোতালেব মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা (বিস্ফোরক) আইনে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এস আই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১০১(১)১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

পরে একই বছরের আগস্টে এস আই এমদাদুল হক তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মৃত অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করিম রনিকে সংযুক্ত করে ৩২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ রোববার আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ড. সহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান এলিস, আনোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন, শফিকুল আলম মিলুসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানি মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান